ঈদের ছুটিতের প্রিয়জনের সাথে ছুটি কাটাতে গ্রামের দিকে ছুটছেন মানুষ। ঈদের আগেই নাড়ির টানে বাড়ির সেই চিরচেনা পথে যাত্রা করেছেন অনেকে। আবার অনেকে এখনো কর্মস্থলে শনিবার শেষ কর্মদিবস শেষে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নগরীর ব্যস্ত মানুষেরা নগর ছেড়ে ফিরছে ঘরে। ঘরমুখি মানুষের ঢলে ফাঁকা হতে শুরু করেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া মানুষের ঢল নেমেছে রেলওয়ে স্টেশন, বাস কউন্টারগুলোতে। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যাচ্ছে ট্রেন ও বাস। প্রশাসন, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্টদের নজরদারিতে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে মানুষ।
সরেজমিনে, শুক্রবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। একদিকে ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে বাড়তি ভিড়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীদের অনেকে। এদিন অতিরিক্ত বগি সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায় ১৬টি আন্তঃনগর, ৪টি মেইল ও ১টি স্পেশাল ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনই শিডিউল অনুযায়ী চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগ করেছে। শুধু ট্রেন নয়- সড়ক পথেও ঘরমুখী মানুষের চাপ ছিলো লক্ষ্যণীয়। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাসের জন্য কাউন্টারে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে। দুপুরের পর থেকে নগরীর প্রবেশপথগুলোতে সড়ক পথের যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, চট্টগ্রাম থেকে শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন গন্তব্যে ছেড়েছে। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই ঈদ যাত্রা করছে। আমরা যাত্রীদের সেবায় এবং নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছি। তবে অন্যান্য সময়ে স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাপ থাকলেও এ বছর এখনো সেভাবে চাপ নেই।
এদিকে নগরীর শাহ আমানত সেতু দিয়ে কক্সবাজার, বান্দরবান এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাসিন্দারা বাড়ি ফিরেন। এই পথে ঘরমুখী মানুষের চাপ ছিলো বেশি। সেতুর আগে বাকলিয়ার তুলাতুলি, কালামিয়াবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। নগরীর আরেক প্রবেশপথ অলঙ্কার, একে খান এবং সিটি গেট এলাকার চিত্রও ছিলো প্রায় একই। দুপুরের পর থেকে এই এলাকায় ঘরমুখো যাত্রীদের বাড়তি ভিড় তৈরি হয়। ঢাকা, নোয়াখালী, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলামুখী যাত্রীদের চাপে একাধিক পরিবহন অতিরিক্ত ট্রিপ পরিচালনা করে এদিন। তবে কিছু কিছু বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়। বাড়তি ভাড়া আদায় ঠেকাতে সেখানে বিআরটিএ-চট্টগ্রাম, সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ও মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত টিম নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। নগরী থেকে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং উত্তর চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর বাসিন্দারা বাড়ি ফেরেন অক্সিজেন এলাকা দিয়ে। বৃহস্পতিবার এই পথে যাত্রীদের চাপ ছিলো বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টারের কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল