ঢাকা থেকে গ্রেফতার হওয়ার চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সিএমপি’র চান্দগাঁও থানার তাহসিন হত্যা মামলায় রবিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, শনিবার রাতে ঢাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ সিএমপি’র একটি দল। গ্রেফতার হওয়া সাজ্জাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘তাহসিন হত্যা মামলায় ছোট সাজ্জাদের ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
সিএমপি’র জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, ‘গত শনিবার রাতে সিএমপি’র উত্তর জোনের উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫টি মামলা রয়েছে।’
চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়া এলাকায় খুন হন তাহসিন। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাজ্জাদ। আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় আনা হয়েছে। তাহসিন হত্যা মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় আরও চারটি মামলা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে আদালতে।’
জানা যায়, চট্টগ্রামের অপরাধের অন্ধকার জগতে ধূমকেতুর মতই আবির্ভাব হয় সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে তিন হত্যাকাণ্ড এবং ১৫টি মামলার আসামি হয়ে আলোচনায় আসেন সাজ্জাদ। নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজীদ এবং জেলার হাটহাজারী থানার বাসিন্দারা ছোট সাজ্জাদ বাহিনী নিয়ে থাকে আতঙ্কে।
এ এলাকায় দখলবাজি থেকে শুরু করে চাঁদাবাজিসহ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে এ সন্ত্রাসী বাহিনী। কথায় কথায় গুলি ছোড়াই যেন তার কাছে পরিণত হয়েছে ফ্যাশনে। ৫ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে চার পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে প্রকাশ্যে বায়েজিদ থানার ওসিকে হত্যার হুমকিও দেন। তাকে সন্ধান চেয়ে পুরস্কারও ঘোষণা করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই