যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক প্রভাস কর্মকারের বহিষ্কার দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। তিনি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এমন নৈতিক স্খলনে আক্রান্ত কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে থাকতে পারে না। এমন কুলাঙ্গাররা শিক্ষক পেশাকে প্রতিনিয়ত কলুষিত করছে। অবিলম্বে তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সংহতি জানিয়ে বিভাগের অধ্যাপক পাপিয়া সুলতানা বলেন, শিক্ষক হিসেবে তার এমন নির্লজ্জ কাজে আমি লজ্জিত। তিনি যৌন হয়রানি ও একাডেমিক ক্রাইম এই দুটি একইসাথে করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুসারে দুটি অপরাধেই চাকরি চলে যায়। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, যৌন নিপীড়করা যেন আর কোনওভাবে রক্ষা না পায় সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। অবিলম্বে এমন কুকর্মের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক প্রভাস কর্মকার বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি নিজেই এ অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতর্কের নিষ্পত্তি চাই।
তদন্তের বিষয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন প্রশাসনকে জমা দেওয়া হয়ছে। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
এরআগে, গত ৪ আগস্ট বিভাগে অভিযুক্ত শিক্ষকের ব্যক্তিগত কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ১৩ আগস্ট বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা। এ ঘটনা তদন্তে বিভাগের শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ