বসুন্ধরা শুভসংঘ গলাচিপা শাখার উদ্যোগে কৃষি জমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কুফল বিষয়ে কৃষকদের সচেতনাতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ডাকুয়া গ্রামের মাঝের চর এলাকার কৃষকদের নিয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ গলাচিপা শাখার কর্মী তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে জমির উর্বরতা হারাতে থাকে। ফলে এর দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব পড়ে জমিতে। কীটনাশক একটি বিষ। কীটনাশক উদ্ভিদের মূল ও পাতার সাহায্যে উদ্ভিদের ভেতর প্রবেশ করে বিষাক্ত করে। কীটনাশক প্রয়োগ ও প্রয়োগের পর নির্দিষ্ট সময়ের পর ফসল তুলতে হয়। কিন্তু আমরা তা না করে দ্রুত ফসল তুলে বাজারজাত করি। এতে মানুষের লিভার আক্রান্ত হয়। স্নায়ুরোগ, রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার, গর্ভপাত ও পঙ্গু সন্তান জন্মদানসহ শরীরে নানা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া কৃষকরা না বুঝে বেশি লাভের আশায় গত বছর যে কীটনাশক ব্যবহার করে ফল পান, পরের বছর পোকা দমন না হওয়ায় আরো বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারের ফলে উপকারী কিছু পোকা আছে যা ফসলের পরাগায়ন ঘটায় তাও শেষ হয়ে যায়। এ ছাড়া কীটনাশক স্প্রে করার সময় ৭৫ ভাগ কৃষকের ওপর সরাসরি ছিটকে পড়ছে। জমি থেকে এক কিলোমিটারের চেয়ে কম দূরত্বে বসবাস করেন ৮৫ ভাগ কৃষক। এর মধ্যে ৫০ ভাগ কৃষক কখনোই কীটনাশক ছিটানোর সময় প্রতিরোধমূলক পোষাক ব্যবহার করেন না। এতে করে ওই সকল কৃষকেরা ক্যান্সার, লিভার সমস্যা, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই বিকল্প হিসেবে জৈব সার ব্যবহার ও প্রাকৃতিকভাবে বালাই নাশক ব্যবহার করা দরকার।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের আহ্বায়ক হুজ্জাতুল ইসলাম, মো. সোহাগ মিয়া, মোনালিসা আক্তার স্বর্ণা, আশিকুর রহমান, তরিকুল ইসলাম আসিফ, মাহাদি আল মাহি, উদয় সরকার, কৃষক সোলায়ামন মৃধা, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ