বিভিন্ন স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আমাদের নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি নেতার পোস্টার টানানো কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় শফিকুল ইসলাম (৪২) নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। পুলিশ গতকাল সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমান রাশেদ নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী। ঈদ সামনে রেখে তিনি দুর্গাপুরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপজেলায় পোস্টার লাগানোর ব্যবস্থা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা দুর্গাপুর বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাতে থাকেন। এক পর্যায়ে থানার মোড় এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে পোস্টার লাগানোর সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর রাতে একদল ব্যক্তি আব্বাছনগর গ্রামে গিয়ে অতর্কিত হামিদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালান ও ভাঙচুর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই হামিদুরের ভাতিজা শফিকুল নিহত হন। আহত হন আরও সাতজন। তাদের মধ্যে আলমগীর হোসেন, সৌরভ, শাকিল, লালচান মিয়া ও কালাচানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শফিকুলের স্বজন মো. কালাচানসহ সবার দাবি-জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা গুলি ছোড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে শফিকুল মারা যান। দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিষয়টি তদন্তাধীন। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
টঙ্গী প্রতিনিধি জানান, সেখানে গার্মেন্টসের ঝুট নামানো কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরা স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেডে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব হালিম মোল্লা সমর্থিত ও গাজীপুর মহানগরের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কাজীর লোকজনের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
হুমায়ুন কাজী জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান নূর এন্টারপ্রাইজের নামে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে গত ১০ আগস্ট থেকে স্যাটার্ন কারখানার ওয়েস্টেজ নিচ্ছেন। গতকাল সকালে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব হালিম মোল্লার ক্যাডাররা কারখানার গেটে এসে গালমন্দ করেন এবং বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। সন্ত্রাসীরা কারখানার লোকজনকে মারধরের চেষ্টা এবং গেটে ধাক্কাধাক্কি করেন। এ সময় লোকজন তাদের ধাওয়া দেন। পরে আল-মামুনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বিচ্ছিন্নভাবে আক্রমণ করে।
এ ব্যাপারে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব হালিম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’