কোনো এক ফেসবুক পোস্টে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারীর কমেন্ট করা এবং এর জেরে পরে তার চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবাররাতে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লিখেন, গত এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে একজন ভাই আমাকে দুইটি অফিস আদেশের ছবি পাঠান। যেখানে দেখতে পাই, আমার ফেসবুক পোস্টে অপ্রীতিকর কমেন্ট করার জন্য একজনকে ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখে সাময়িক বহিষ্কার এবং মার্চ মাসের ১৩ তারিখে বিভাগীয় মামলার সম্মুখীন করা হয়। প্রথমেই বলে রাখি, আমি তার বিরুদ্ধে কোথাও কখনো কোনো অভিযোগ করিনি। এমনকি এমনকিছু যে হয়েছে, এটা আমি ১৪ এপ্রিলের আগে জানতামও না। তাদের অফিসের কেউ যদি অতি উৎসাহী হয়ে এই কাজ করে থাকে, তাহলে সেটি আমার জানার সুযোগ থাকে না এবং আমি জানতাম না।
তিনি আরও লিখেন, ১৪ তারিখে জানার সঙ্গে সঙ্গে যেই ভাইয়ের মাধ্যমে আমি খবরটি জানতে পারি, তার কাছে উনার কন্টাক্ট নাম্বার চাই। উনি নাম্বার ম্যানেজ করে দেন। এরপর সেদিনই আমি তার সঙ্গে কথা বলি। তাকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য আবেদন করতে বলি। তার কাছে জানতে পারি তিনি ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন।
সারজিস লিখেন, অতঃপর আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলি। তিনি সরকারি কর্মচারী হিসেবে তাদের আচরণগত শৃঙ্খলা ভঙ্গের কথা বলেন। আমি তাকে অনুরোধ জানাই- আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে আমার পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য আমার পক্ষ থেকে অনুরোধ করি। এখন তিনি সেই যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন। এটাই ছিল ঘটনা। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচারমূলক নানা মোড়কে প্রকাশ না করার আহ্বান থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ