দীর্ঘ ছয় মাসেরও বেশি সময় পর গত ১৮ মে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসান। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে মাঠে নামেন এই অলরাউন্ডার। দল জিতলেও সেদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। ব্যাটিয়ে নেমে প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। বল হাতেও কোনো উইকেট পাননি তিনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটের দেখা পেয়েছেন সাকিব।
বৃহস্পতিবার রাতে করাচি কিংসের বিপক্ষে এলিমিনেটর খেলতে নামে লাহোর। করাচি কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দলটা জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগের কোয়ালিফায়ারে।
লাহোর দলে বাংলাদেশি ছিলেন তিনজন। সাকিব ছাড়াও অন্য দুইজন ছিলেন রিশাদ হোসেন আর মেহেদি হাসান মিরাজ, যারা আবার সাকিবের মতোই স্পিনার। অভিজ্ঞতার বিচারে তাই সাকিব একাই জায়গা পেয়েছেন একাদশে।
সাকিব অবশ্য এই এলিমিনেটরে বল করেছেন মোটে ৬টি। পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারে তাকে আক্রমণে এনেছিলেন অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি। সে ওভারের প্রথম ৫ বলে তিনি দিয়েছেন ৪ রান, শেষ বলে জেমস ভিন্সকে দেখিয়েছেন সাজঘরের রাস্তা।
তবে এরপর আর তাকে আক্রমণে আনার সাহস করেননি অধিনায়ক শাহিন। কারণ বাঁহাতি ডেভিড ওয়ার্নার যে ইনিংসের ১৬তম ওভার পর্যন্ত ছিলেন উইকেটে। তার ৭৫ রানের ইনিংসের সামনে লাহোরের সব বোলারই তুলোধুনো হয়েছেন।
ম্যাচ আপের কথা ভেবে হয়তো বাঁহাতি সাকিবকে তাই আর আক্রমণে আনতে চাননি শাহিন, নাহয় প্রথম ওভারে এমন সফল একজনকে আক্রমণে না আনার যুতসই ব্যাখ্যা দাঁড় করানো কঠিন।
বাঁহাতি ওয়ার্নারের ৭৫ রানের ইনিংস যখন শেষ হলো ইনিংসের ১৬তম ওভারে। তারপর ইরফান খান, খুশদিল শাহ আর মোহাম্মদ নবির যথাক্রমে ১৮, ২৭ আর ১৬ রানের ছোট ছোট ক্যামিওতে ভর করে করাচি কিংস দাঁড় করায় ১৯০ রানের লড়াকু পুঁজি।
এত বড় রান তাড়া করতে নেমেও সাকিবের ব্যাটিং প্রয়োজন পড়েনি লাহোরের। তার আগেই কাজটা শেষ করে দেন ফখর জামান, আব্দুল্লাহ শফিক, কুশল পেরেরা আর ভানুকা রাজাপাকশেরা। ফখরের ২৮ বলে ৪৭ রানে উড়ন্ত শুরু পায় লাহোর। তার বিদায়ের পর ৩৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে দলের সুতোটা ঢিলে হতে দেননি আব্দুল্লাহ।
এরপর ৩০ করা কুশল পেরেরা বিদায় নিলেও ১২ বলে ২৩ রান করা ভানুকা রাজাপাকশে ম্যাচ শেষ করেই ফেরেন সাজঘরে। ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় লাহোর। চলে যায় কোয়ালিফায়ারে। সেখানে শুক্রবার রাতে দলটা খেলবে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম