কোরবানি কী
মুসলমানদের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। প্রচলিত অর্থে ঈদুল আজহার দিন মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শরিয়তের বিধানমতে যে পশু জবাই করা হয়, তাকে কোরবানি বলা হয়। ভোরে পুবাকাশে রক্তিম সূর্য উঠতেই কোরবানি করা হয় বলে এ দিনকে কোরবানির ঈদ বলা হয়। কোরবানির শাব্দিক অর্থ ত্যাগ। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পরম ত্যাগের নিদর্শনস্বরূপ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় মহাসমারোহে হজের অন্যতম অংশ পশু জবাইয়ের মাধ্যমে ঈদুল আজহা পালন করেন। তাই ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মুসলিম জাতি যে উৎসবে মিলিত হয়, সেটিই ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ (আল-কামুসুল মুহিত-১৫৮, তাফসিরে কাশশাফ-১/৩৩৩)।
যত প্রকার কোরবানি
ইসলামি শরিয়তে পারিভাষিক অর্থে দুই ধরনের কোরবানি রয়েছে। যথা-
১. বিশেষ কোরবানি : যা হজের মৌসুমে হজ ও ওমরা পালনকারীরা মক্কা ও মিনায় আদায় করে থাকন। কোরবানির বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন- কিরান বা তামাত্তু হজ পালনকারীর ওয়াজিব কোরবানি, ইফরাদ হজ পালনকারীর নফল কোরবানি, সঙ্গে করে নিয়ে আসা হাদি বা কোরবানির পশু দ্বারা কোরবানি, হজ আদায়ে অক্ষম হওয়ায় বা কোনো নিষিদ্ধ কাজের জরিমানাস্বরূপ অপরিহার্য কোরবানি বা মানতের কোরবানি। এসব কোরবানির বিধান মৌলিকভাবে [সুরা হজ-(২৭-৩৭), সুরা বাকারা-১৯৬, সুরা মায়িদা-(২, ৯৫-৯৭) ও সুরা ফাতহ-২৫]-এ এসেছে। হাদিসেও বিস্তারিত উল্লিখিত হয়েছে।
২. সাধারণ কোরবানি : যা হজ-ওমরার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং যার স্থানও নির্ধারিত নয়। তবে সময় নির্ধারিত। যে তারিখে হজ পালনকারীরা মক্কা ও মিনায় কোরবানি করেন, সেই (অর্থাৎ জিলহজের দশ, এগারো ও বারো) তারিখে কোরবানি করা। প্রত্যেক সুস্থ মস্তিষ্ক, প্রাপ্তবয়স্ক ও সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য এর বিধান এসেছে। তবে কারও জন্য তা ওয়াজিব, কারও জন্য নফল। রসুল (সা.) বলেন, ‘আমাকে এই দিনে কোরবানির আদেশ করা হয়েছে। এ দিনকে আল্লাহ এই উম্মতের জন্য ঈদ বানিয়েছেন’ (মুসনাদে আহমদ-৬৫৭৫, সুনানে নাসাঈ-৪৩৬৫)।
প্রথম কোরবানি
মানব ইতিহাসে সর্বপ্রথম আদম (আ.)-এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিলের কোরবানি হয়। জান্নাত থেকে আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর পৃথিবীতে যখন আগমন ঘটে, তখনকার কথা। তাঁদের সন্তানপ্রজনন ও বংশ বিস্তার শুরু হলো। প্রতি গর্ভ থেকে একটি ছেলে ও মেয়ে যমজ জন্ম নিত। ফলে একশ্রেণির ভাইবোন ছাড়া আদম (আ.)-এর কোনো সন্তান ছিল না। অথচ ভাইবোন বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না। তাই আল্লাহ উপস্থিত প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে আদম (আ.)-এর শরিয়তে বিশেষভাবে নির্দেশ দিলেন, ‘একই গর্ভ থেকে যে যমজ ছেলেমেয়ে জন্ম নেবে, তারা পরস্পর সহোদর ভাইবোন গণ্য হবে। তাদের মাঝে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম। কিন্তু পরবর্তী গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণকারী ছেলের জন্য প্রথম গর্ভ থেকে মেয়ে সহোদরা বোন গণ্য হবে না। তাই তাদের পরস্পর বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।’ ঘটনাক্রমে আদম (আ.)-এর এক ছেলে কাবিলের সহজাত বোন আকলিমা ছিলেন সুন্দরী। তাঁর আরেক ছেলে হাবিলের সহজাত বোন গাজা ছিলেন তুলনামূলক কম সুন্দরী। বিয়ের সময় হলে নিয়মানুযায়ী হাবিলের সহজাত অসুন্দরী বোন কাবিলের ভাগে পড়ল। এতে কাবিল অসন্তুষ্ট হয়ে হাবিলের শত্রু হলো। সে জেদ ধরল, আমার সহোদরা বোনকেই আমার সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। আদম (আ.) শরিয়তের আইনের পরিপ্রেক্ষিতে কাবিলের সেই আবদার প্রত্যাখ্যান করলেন। হাবিল ও কাবিলের মতভেদ দূর করার জন্য বললেন, ‘তোমরা উভয়েই আল্লাহর জন্য নিজ নিজ কোরবানি পেশ কর। যার কোরবানি কবুল হবে, সে-ই আকলিমাকে বিয়ে করবে।’ সেই যুগে কোরবানি কবুল হওয়ার নিদর্শন ছিল- আকাশ থেকে একটি অগ্নিশিখা এসে কোরবানিকে জ্বালিয়ে আবার অদৃশ্য হয়ে যেত। পবিত্র কোরআনে বর্ণনা এসেছে, ‘কবুল কোরবানি হলো, যাকে আগুন গ্রাস করে নেবে’ (সুরা আলে ইমরান-১৮৩)। আর যে কোরবানিকে আগুন জ্বালাত না, তা প্রত্যাখ্যাত বলে ধরা হতো। হাবিল ভেড়া ও দুম্বা পালন করতেন। তিনি একটি মোটাতাজা দুম্বা কোরবানি করলেন। কাবিল কৃষিকাজ করতেন। তিনি কিছু শস্য ও গম কোরবানির জন্য পেশ করলেন। নিয়মানুযায়ী মহান আল্লাহর নির্দেশে আকাশ থেকে অগ্নিশিখা এসে হাবিলের কোরবানি জ্বালিয়ে দিল। কাবিলের কোরবানি যেমন ছিল তেমনই পড়ে রইল (তাফসিরে ইবনে কাসির-৩/১০১)। সেই থেকে প্রত্যেক জাতির মাঝে অবিচ্ছিন্নভাবে কোরবানির বিধান চলমান।
কোরবানির প্রচলিত কাহিনি
কোরবানির রীতি ইবাদত হিসেবে যদিও আদম (আ.)-এর যুগ থেকে প্রচলিত, কিন্তু পরবর্তীতে ইবরাহিম (আ.)-এর এক ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে আবার শুরু হয়। ইবরাহিম (আ.) বেশ কিছু পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন। এর অন্যতম কোরবানি। তিনি পরপর তিন রাত স্বপ্নে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে আদিষ্ট হন। পরামর্শক্রমে পিতা-পুত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ স্বীকার করে কোরবানির জন্য প্রস্তুতি নেন। কাজ সমাধার জন্য তাঁরা মিনাপ্রান্তরে রওনা হন। শয়তান কোরবানির মহান এ কাজে বিভিন্নভাবে বাধার সৃষ্টি করে। সে প্রথমে মা হাজেরা ও পুত্র ইসমাইলকে কৌশলে বুঝিয়ে এ থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়। পরে মিনার পথে জামারায়ে আকাবা, জামারায়ে উশতা ও জামারায়ে উলা নামক তিন স্থানে তিনবার ইবরাহিম (আ.)-কে প্ররোচিত করার চেষ্টা করে। কিন্তু ইবরাহিম (আ.) প্রতিবারই তাকে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করে তাড়িয়ে দেন। মিনায় পৌঁছে পুত্রকে আদর করে চুমু খেলেন ইবরাহিম (আ.)। অশ্রুসিক্ত চোখে তাঁকে বাঁধলেন। তারপর সোজা করে শুইয়ে গলায় ছুরি চালালেন। কিন্তু গলা কাটল না। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে পিতলের একটি টুকরা মাঝখানে বাধা হিসেবে রেখে দিলেন। ইসমাইল (আ.) বললেন, ‘পিতা! আমাকে উপুড় করে শুইয়ে নিন। কারণ, আমার মুখ দেখে আপনার মাঝে হয়তো পিতৃস্নেহ জেগে উঠছে। তাই গলা কাটতে পারছেন না। তা ছাড়া ছুরি দেখলে আমি ঘাবড়ে যাই।’ সন্তানের কথামতো ইবরাহিম (আ.) তাঁকে উপুড় করে শুইয়ে আবার সজোরে ছুরি চালালেন। কিন্তু তখনো গলা কাটল না। ইবরাহিম (আ.) চেষ্টা করেই যাচ্ছেন। তাঁর এ প্রাণান্ত চেষ্টা দেখে মহান আল্লাহ খুশি হলেন। ইসমাইল (আ.)-এর জবাই ছাড়াই তাঁর কোরবানি কবুল করলেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘যখন পিতা-পুত্র আল্লাহর কাছে নিজেদের সমর্পণ করল এবং ইবরাহিম পুত্রকে উপুড় করে শুইয়ে দিল, তখন তাকে বললাম, হে ইবরাহিম! তুমি স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখিয়েছ। আমি সৎকর্মশীলদের এরূপ প্রতিদান দিয়ে থাকি। আসলে এ এক সুস্পষ্ট কঠিন পরীক্ষা। আমি একটি দুম্বা ফিদিয়াস্বরূপ কোরবানি করে ইসমাইলকে উদ্ধার করেছি’ (সুরা সাফফাত-১০৩-১০৭)। এরপর আল্লাহ নির্দেশ দিলেন, ‘এখন পুত্রকে ছেড়ে দাও এবং তোমার পাশে যে দুম্বাটি দাঁড়ানো, সেটি জবাই কর।’ তখন ইবরাহিম (আ.) পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখেন, একটি হৃষ্টপুষ্ট দুম্বা দাঁড়ানো। আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তিনি দুম্বাটি জবাই করলেন। আল্লাহ পরবর্তী সব উম্মতের মাঝে এ কোরবানি অবিস্মরণীয়রূপে বিরাজমান রাখার ব্যবস্থা করলেন। ফলে ইসলাম ধর্মে ওয়াজিব ইবাদত ও প্রতীক হিসেবে এটি আজও পালিত হয়। আল্লাহ বলেন, ‘আমি ভবিষ্যৎ উম্মতের মাঝে ইবরাহিমের এ আদর্শ স্মরণীয় করে রাখলাম’ (সুরা সাফফাত-১০৮)।
দেশভেদে কোরবানির রীতি
সৌদি আরব : একদিকে পবিত্র হজ, অন্যদিকে কোরবানি- দুটো মিলে সৌদিতে ঈদুল আজহার উৎসব দারুণভাবে পালিত হয়। এ দিন সরকারি ছুটি থাকে। ঈদের নামাজের পর খুব সকালে পরিবারের সবাই মিলে পশু কোরবানি করেন। নিজস্ব পদ্ধতিতে কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করেন। কোরবানির পশুর মাংসকে তারা খাবারের বরকত মনে করেন। দেশটির জনগণ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজের উদ্দেশে আসা মুসল্লিরা একসঙ্গে পশু কোরবানি করেন। কোরবানির জন্য উটই সবচেয়ে প্রাধান্য পায়। এ ছাড়া দুম্বাও কোরবানি করা হয়।
আরব আমিরাত : আরব আমিরাতে ঈদের ব্যানারে বাসাবাড়ি সাজানো হয়। দুধ খোরমা ও শির খোরমা নামে সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। নারীরা আগের রাতে মেহেদি পরেন। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যে বিশেষ ছাড় ও অফার থাকে। অনেকে ঘরে বসে ভিডিওকলের মাধ্যমে একাধিক কোরবানির পশু কিনে থাকেন। ঈদের তিন দিনই তাঁরা কোরবানি করেন। ঈদের দিন সকালে নামাজ পড়ে সবাই নিজ নিজ পশু কোরবানির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেন। ধনীরা দান করার জন্য এ দিন খোলা মনে বের হন। কোলাকুলি ও ঈদ মোবারক জানিয়ে পরস্পরকে অভিবাদন জানান। শিশুরা নতুন পোশাক পরে প্রতিবেশীদের ঈদ-বিস্কুট বিলি করে। যথাযথভাবে কোরবানি ও বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য কসাইখানার স্থান নির্ধারিত থাকে।
মিসর : ঈদকে ঘিরে আয়োজন করা হয় হরেক রকম খাবার। ঘরবাড়ি সাজানো হয়। গ্রাম ও মরু অঞ্চল থেকে কোরবানির জন্য পশু শহরে নিয়ে আসা হয়। দেশটিতে ঈদুল আজহা মূলত সকালে মসজিদগুলোতে একত্রে নামাজ পড়া, খুতবা শোনা এবং তারপর পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর সবাই আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করেন। এ দিন বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা গরিবদের মাঝে কোরবানির মাংস ও অন্যান্য খাদ্য বিতরণ করে। ঈদের নামাজের পর নারীরা একত্রিত হন। তাঁরা শিশুদের উপহার, সেলামি ও বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দিয়ে থাকেন। সন্ধ্যার পর আবার সবাই সমবেত হন। দস্তরখানা বিছিয়ে রাতের খাবারে অংশ নেন।
মরক্কো : মরক্কোতে ঈদুল আজহা ‘ঈদুল কাবির’ নামে স্বীকৃত। সাধারণত অন্যান্য দেশের মতো দিনটি শুরু হলেও স্থানীয় সংস্কৃতির আমেজ দেখা যায়। ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানিকে আল্লাহর জন্য ত্যাগ গণ্য করা হয়। পশু হিসেবে গরু, ছাগল কিংবা ভেড়া থাকে। মরক্কো এক সময় মুসলিম সাম্রাজ্যের অন্যতম চারণভূমি হওয়ায় ইসলামি প্রাচীন নিদর্শনগুলো এখানে রয়েছে। ঈদের দিন তাঁরা স্থানীয় মসজিদ ও স্থাপত্য পর্যবেক্ষণে সময় দিতে পছন্দ করেন। তা ছাড়া কোরবানির মাংস ও তাজিনের মতো স্থানীয় খাবার আত্মীয় ও গরিবদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে।
তুরস্ক : আনাতোলিয়ান তুর্কি বেজলিক ও পরবর্তীদের অটোম্যান সাম্রাজ্যের উত্থানে তুরস্কে ঈদুল আজহা অন্যরকম মর্যাদায় উন্নীত। পুরোনো বিশ্বাস মতে, এই দিনে বিয়ে বা নতুন ব্যবসা শুরু করেন না তাঁরা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঈদের নামাজের পর শুরু হয় পশু কোরবানি। কোনো কোনো অঞ্চলে পশুকে মেহেদি ও কাপড় দিয়ে সাজানো হয়। অন্যান্য অঞ্চলের মতোই কোরবানির মাংস বণ্টন করে আত্মীয় ও অভাবীদের মাঝে বিলি করা হয়। পশু হিসেবে থাকে প্রধানত মেষ। ছুটির প্রথম দিন থাকে মূলত প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের বাসায় বেড়ানোর জন্য। ঈদুল আজহাকে তুর্কি ভাষায়, ‘কোরবান বায়রামি’ বলা হয়। তুরস্কে অনুমোদিত কসাইখানা ছাড়া অন্য কোথাও পশু কোরবানি করা বেআইনি।
মালয়েশিয়া : মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় বিলাসী কোরবানির হাট গড়ে উঠেছে। ল্যাপটপ ও ট্যাব হাতে সেলসম্যানের উপস্থিতিতে হাটগুলোতে দেখা যায় ভিন্নমাত্রা। একে হাট না বলে পশুর শো-রুম বলা যায়। দামি গাড়িতে চড়ে ধনী ক্রেতারা ওইসব শো-রুমে ভিড় জমান। চড়া দামে কেনেন পশু। ঈদের জামাত ও পশু কোরবানির পর নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে ঈদ পালন করতে দেখা যায় তাদের। পশু কোরবানির পর এই দিনে রাস্তাঘাটে মশাল জ্বালানো বা আতশবাজি পোড়ানো হয়। এই দিনে মালয়েশিয়ার মুসলিম পরিবারগুলোর দরজা সবার জন্য খোলা থাকে। মালয়েশিয়ানরা সমাজবদ্ধভাবে কোরবানি করা পছন্দ করেন। স্থানীয় মসজিদে পশু কোরবানি করে মাংস একসঙ্গেই বণ্টন করা হয়।