দীর্ঘ দেড় বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বাংলাদেশে আসেন সিলভা। সিলভাকে বরণ করতে আগে থেকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন প্রেমিক সঞ্জয়। বিমানবন্দর থেকে সঞ্জয় চলে আসেন গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। বিষয়টি জানাজানি হলে সঞ্জয়ের বাড়িতে ভিড় জমে যায়...
ঘটনা ২০১৭ সালের। ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল রাত ১০টায় ঢাকায় পা রাখেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী জেইসা ওলিভেরিয়া সিলভা। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর বাজারে মিষ্টি ব্যবসায়ী বলাই ঘোষের ছেলে সঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে বিয়ের জন্য ব্রাজিলের সাওপাওলো থেকে ছুটে আসেন ২৯ বছর বয়সি এই তরুণী। দীর্ঘ দেড় বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বাংলাদেশে আসেন সিলভা। সিলভাকে বরণ করতে আগে থেকেই বিমান বন্দরে অপেক্ষা করছিলেন প্রেমিক সঞ্জয়। বিমান বন্দর থেকে সঞ্জয় চলে আসেন গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। সে বছর ৪ এপ্রিল বিষয়টি জানাজানি হলে সঞ্জয়ের বাড়িতে ভিড় জমে যায়। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। পরদিন সঞ্জয় ও সিলভা ঢাকায় চলে যান। জামালপুর থাকা অবস্থায় সিলভা স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেছিলেন, সঞ্জয়ের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর তাকে খুব ভালো লাগে। এখানে এসে সবাইকে খুব ভালো লেগেছে। সঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যরা সবাই খুব মিশুক ও ভালো। তিনি সুযোগ পেলে আবারও বেড়াতে আসবেন। এরপর ৬ এপ্রিল রাজধানী ঢাকার মিরপুরে একটি বাসায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় বলে জানা যায়। ১০ এপ্রিল ঢাকা থেকে ব্রাজিল পাড়ি জমান জেইসা ওলিভেরিয়া সিলভা। এরপর থেকে পুরোপুরি যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় তাদের। সিলভা ব্রাজিলে ফিরে তার সেই ফেসবুক আইডি বন্ধ করে দেন। এমনকি যে সিম ব্যবহার করতেন সেটিও বন্ধ করে রাখেন। সঞ্জয়ের সঙ্গে তার আর যোগাযোগ হয়নি। এ ঘটনায় বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সঞ্জয়ের গ্রামের বাড়িতে গেলে এ বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি সঞ্জয়ের সঙ্গে। তার বন্ধু ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, সঞ্জয় একটি পরিবহন কোম্পানিতে কাজ করতেন। ব্রাজিল থেকে এক তরুণী তার সঙ্গে জামালপুর আসেন। জামালপুর তারা দুই দিন ছিলেন। পরে জানা যায়, ঢাকায় তারা বিয়ে করেছেন। ব্রাজিলে চলে যাওয়ার পর সিলভা আর যোগাযোগ করেননি। সঞ্জয় ঘোষের পিতা বলাই ঘোষ বলেন, বন্ধুত্বের টানে ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশ আসেন ব্রাজিলকন্যা সিলভা। জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে দুই দিন ছিল। ঢাকা থেকে পরে ওই কন্যা ব্রাজিল ফিরে যান। বর্তমানে আমার ছেলে ঢাকায় বসবাস করছে। দুই বছর আগে গোপালগঞ্জে বিয়ে করেছে সে। তাদের একটি ছেলে আছে। সবাই মিলে ঢাকায় তারা সুখে আছেন।