ইরানের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এটাকে ‘অগ্রিম, সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত প্রতিরক্ষামূলক হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শুক্রবার ভোরে এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এটা কেবল একদিনের হামলা নয়—এমন মন্তব্য করেছে ইসরায়েলের উচ্চপদস্থ একটি সূত্র। সিএনএনকে তারা জানায়, সামরিক ও কূটনৈতিকভাবে ‘সুবিধাজনক সময়’ মনে করে তারা এই হামলা শুরু করেছে এবং সামনে আরও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে।
হামলার পরই ইরানের রাজধানী তেহরানের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, সব পাইলটকে অবগত করার জন্য ইরান ‘নোটাম’ জারি করেছে।
ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এক্স-এ দেওয়া পোস্টে জানান, ‘জেরুজালেমে আমাদের দূতাবাস পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা পুরো রাত এখানেই থাকছি। জেরুজালেমের শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন।’
তবে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অংশগ্রহণ বা সহায়তা নেই।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে বড় সংঘাত যে কোনো সময় শুরু হতে পারে।’ তিনি জানান, ইসরায়েল যে ইরানে বড় হামলা চালাতে যাচ্ছে, তার আশঙ্কা করছেন তিনি এবং একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিছু অতিরিক্ত জনবল প্রত্যাহার করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ায় এখন পুরো বিশ্বের চোখ মধ্যপ্রাচ্যের দিকে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল