পাল্টা জবাবের অংশ হিসেবে দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যাপক মিসাইল হামলা শুরু করে ইরান। শনিবার (১৪ জুন) মধ্যরাতে প্রথম দফায় অন্তত ১০০টি মিসাইল ছোড়ে দেশটি। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও কয়েক ডজন মিসাইল ছোড়া হয়। শেষে আরও একবার দখলদারদের লক্ষ্য করে মিসাইল ছুড়েছে ইরান। তৃতীয় দফায় কতগুলো মিসাইল ছোড়া হয়েছে সেটি নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
শুক্রবার রাতে ইরানি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
টিভির স্ক্রিনে দেখা গেছে, দখলদার ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের বিভিন্ন জায়গায় মিসাইল আছড়ে পড়ছে। এ সময় ইরানি মিসাইল আটকানোর চেষ্টা করে দখলদারদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় এসব মিসাইল আঘাত হানে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, ইরানের মিসাইল হামলায় তেল আবিবে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মিসাইল হামলাকে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নাম দিয়েছে ইরান।
এর আগে. শুক্রবার ভোরে ইরানে ২০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়। ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, আইআরজিসির বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহসহ অন্তত ২০ জন কমান্ডার নিহত হন। এ হামলায় সব মিলিয়ে অন্তত ৭৮ জনের প্রাণহানি এবং তিন শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এর প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আবারও নতুন করে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এসব হামলার জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান। শুক্রবার সন্ধ্যার পর ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে মিসাইল ছুড়েছে তেহরান।
বিডি প্রতিদিন/কেএ