ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কঠোর ভাষা ব্যবহার করে চিঠি দিয়েছে ইরান। শুক্রবার ওই চিঠিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘ইসরায়েল তার বেপরোয়া আগ্রাসনের জন্য গভীর অনুশোচনায় পড়বে।’
চিঠিতে আরাগচি জাতিসংঘকে অনতিবিলম্বে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের এই নগ্ন ও বেআইনি হামলা আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের ঘোরতর লঙ্ঘন। সেই সঙ্গে তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানান, এই আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
আরাগচি আরও বলেন, ইসরায়েল এখন বিশ্বের সবচেয়ে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তারা সব সীমা অতিক্রম করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তবে এসব অপরাধের পুনরাবৃত্তি হবেই।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরান আইনসম্মত ও উপযুক্ত মাত্রায় এর জবাব দেবে। আমাদের সার্বভৌমত্ব, জনগণ ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় কোনো আপস করা হবে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক স্টেট ডিপার্টমেন্ট উপদেষ্টা ভালি নাসর সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরানের আর পিছু হটার উপায় নেই। এই হামলার প্রতিশোধ নিতেই হবে। নইলে আন্তর্জাতিক মহলে তাদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, এটা যদি ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনতে ব্যবহৃত কোনো কৌশল হয়ে থাকে, তাহলে তা ব্যর্থ হবে। এখন আর কথায় নয়, অস্ত্র দিয়েই হবে প্রতিক্রিয়া।
ওমানে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এবার আগুন নেভানোর চেয়ে আগুন আরও জ্বলবে বলেই আশঙ্কা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল