শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০১ জুন, ২০২৫ আপডেট: ০০:২৯, রবিবার, ০১ জুন, ২০২৫

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
প্রিন্ট ভার্সন
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা

হজ যেভাবে এলো

মহান আল্লাহ কাবা শরিফকে নিজের ঘর বলে ঘোষণা করেছেন। প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-এর সৃষ্টির ২০০০ বছর আগে পৃথিবীর প্রথম ঘর কাবা নির্মিত হয়। আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর কাবা; যা মানুষের জন্য নির্ধারিত। এটি মক্কায় অবস্থিত এবং বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়াত ও বরকতময়’ (সুরা আলে ইমরান-৯৬)। আদম (আ.) পৃথিবীতে আসার পর আল্লাহর নির্দেশে পুনরায় কাবাঘর নির্মাণ করেন। কাবাকেন্দ্রিক বিভিন্ন ইবাদতের নির্দেশ পান। হজরত নুহ (আ.)-এর যুগে মহাপ্লাবনে এ ঘর নিশ্চিহ্ন হয়। মহান আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.) কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিকদের মতে, আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-কে নির্দেশ দেন, যেন তিনি বিশ্ববাসীকে এই ঘর জিয়ারতের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দাও। তারা দূরদূরান্ত থেকে হেঁটে ও সব ধরনের ক্ষীণকায় উটে চড়ে আসবে’ (সুরা হজ-২৭)। ইবনে কাসির (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেন, হজের ঘোষণার নির্দেশ দিলে ইবরাহিম (আ.) বলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি কীভাবে এ আহ্বান পৌঁছাব? আমার কণ্ঠস্বর তো তাদের কাছে পৌঁছাবে না।’ আল্লাহ বলেন, ‘তুমি আহ্বান জানাও, পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার।’ ইবরাহিম (আ.) মাকামে ইবরাহিমের পাথর, সাফাপর্বত ও আবু কুবায়েস পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন, ‘হে মানবজাতি! তোমাদের প্রতিপালক একটি ঘর নির্ধারণ করেছেন। তোমরা এর হজ কর।’ বলা হয়, পৃথিবীর পাহাড়গুলো তখন নিচু হয়ে যায়। ফলে তার ঘোষণা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। মায়ের গর্ভাশয় ও বাবার মেরুদণ্ডে অবস্থানকারী সব মানুষ শুনতে পায়। কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ হজ করবে, তারা লাব্বাইক বলে সাড়া দেয়।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)।

 

প্রাক-ইসলাম ও নবীযুগে হজ

রসুল (সা.)-এর জন্মের আগেও আরবরা হজ পালন করতেন। তারা জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ করতেন না। কাবাঘরকে কেন্দ্র করে দূরদুরান্ত থেকে মানুষ আসতেন; হজের বিভিন্ন রীতি পালন করতেন; যা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দেখানো হজ থেকে ভিন্ন ও বিকৃত ছিল। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, আল্লাহ মহানবীর (সা.) উম্মতের ওপর নবম হিজরিতে হজ ফরজ করেন। হজের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রসুল (সা.) আবু বকর (রা.)-কে দলপতি নিযুক্ত করে হজ পালনে পাঠান। সেবার ৩০০ সাহাবি হজ পালন করেন। এ সময় সুরা তাওবা অবতীর্ণ হয়। এতে মুশরিকদের সঙ্গে থাকা শান্তিচুক্তি ভঙ্গের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়, ‘আজকের পর থেকে মুশরিকরা হারাম শরিফের সীমানায় ঢুকতে পারবে না।’

 

হজের বিধান

ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম হলো হজ। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ইহরাম বেঁধে আরাফার মাঠে অবস্থানসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে নির্ধারিত কিছু আমল করে কাবাঘর তাওয়াফ করাকে হজ বলে। কোনো ব্যক্তি যদি কাবাঘরে যাওয়া ও ফিরে আসা পরিমাণ অর্থের মালিক হয়। এ ছাড়া তার মৌলিক খরচ ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচ থাকে- এ অবস্থায় তার ওপর হজ ফরজ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর জন্য হজ ও ওমরা পালন কর’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে (মক্কায় কাবা শরিফে) যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর জন্য ওই ঘরের হজ করা তার অবশ্য কর্তব্য’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। হজের ফরজ তিনটি, আর ওয়াজিব ছয়টি। এ কাজগুলো ৭ থেকে ১২ জিলহজের মধ্যে করতে হয়।

 

যত প্রকার হজ

১. ইফরাদ : শুধু হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওই ইহরামেই হজের সব আমল সম্পন্ন করা। ইফরাদ হজে কোরবানি করা মুস্তাহাব।

২. তামাত্তু : শুধু ওমরার নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওমরার কাজ শেষ করা। এরপর মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়া। তারপর ওই সফরেই হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে হজের সব আমল সম্পাদন করা। তামাত্তু হজে কোরবানি করা ওয়াজিব।

৩. কিরান : একসঙ্গে ওমরা ও হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে একই ইহরামে ওমরা ও হজ পালন করা। কিরান হজেও কোরবানি করা ওয়াজিব।

এই তিন প্রকারের মধ্যে ‘কিরান হজ’ উত্তম। কিন্তু ইহরাম দীর্ঘায়িত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞাবলি সঠিকভাবে মেনে চলতে না পারার আশঙ্কা থাকে। তাই তামাত্তু হজ করা ভালো। (ফতোয়ায়ে শামি, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ৫২৯)।

 

ইহরাম

হজ ও ওমরার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ইহরাম। ইহরাম হলো হজ ও ওমরার জন্য নির্ধারিত একটি অবস্থা। মিকাত নামক নির্ধারিত স্থানগুলো অতিক্রম করার আগে ইহরামের অবস্থা ধারণ করতে হয়। ইহরামের নির্দিষ্ট পোশাক ও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। ইহরাম মানে কোনো জিনিসকে নিজের ওপর হারাম বা নিষিদ্ধ করে নেওয়া। হজ ও ওমরা পালনকারী ইহরাম বাঁধার মাধ্যমে নিজের ওপর স্ত্রী সহবাস, মাথার চুল, হাতের নখ, গোঁফ, বগল ও নাভির নিচের চুল ইত্যাদি কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার, সেলাইযুক্ত কাপড় পরা এবং শিকার করাসহ কিছু বিষয় হারাম করে নেন; এজন্য একে ইহরাম বলে।  ইহরামের পোশাক পরা ইহরাম নয়, বরং নিয়তটাই ইহরাম।

 

তালবিয়া

‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা, লাকা ওয়াল মুলক, লা-শারিকা লাক।’ অর্থ : আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির। কোনো শরিক নেই তোমার। আমি হাজির। নিশ্চয় সব প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই। সব সাম্রাজ্যও তোমার। কোনো শরিক নেই তোমার।

 

ওমরা

মক্কায় প্রবেশের পর সম্ভব হলে ওমরা শেষ করে নিতে হয়। ওমরার গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাওয়াফ করা। এটি ফরজ (সহিহ মুসলিম-২১৩৭)। কাবাঘরের চারপাশে সাতবার বৃত্তাকারে ঘোরাকে এক তাওয়াফ বলা হয়। প্রথম তিনবার ঘোরায় বীরত্ব প্রদর্শনে দ্রুত হেঁটে চলতে হয়। যাকে রমল বলে (সহিহ বোখারি-১৫০১)। এরপর ইজতিবা করা (ইহরামের কাপড় ডান হাতের নিচে দিয়ে বাঁ-কাঁধের ওপর রাখা) জরুরি। পরবর্তী চার তাওয়াফ স্বাভাবিকভাবে শেষ করতে হয় (তিরমিজি-৭৮৭)।

 

সাঈ

সাঈ মানে দ্রুত হাঁটা। সাফা পাহাড় থেকে শুরু করে মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে তা শেষ হয়। সর্বমোট সাতবার সাফা-মারওয়ায় দৌড়াতে হয়। এরপর মাথা মুণ্ডন করা ওয়াজিব। হজ শুরু হওয়ার কাছাকাছি সময় হলে চুল খাটো করে ফেলতে হয়। যাতে হজ শেষে আবার মাথা মুণ্ডন করা সম্ভব হয়। এরপর হাজিরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন। ইহরামের সময় নিষিদ্ধ কাজ থেকে অব্যাহতি পান।

 

মহান আল্লাহ কাবা শরিফকে নিজের ঘর বলে ঘোষণা করেছেন

শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ

পবিত্র হজের অন্যতম ওয়াজিব বিধান হলো জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা। শয়তানকে উদ্দেশ করে হাজিরা তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। জামারায় তিন শয়তানকে ঘৃণাভরে প্রতীকী অর্থে এ পাথর নিক্ষেপ করেন তাঁরা। মিনায় গিয়ে তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন হাজিরা।  প্রথমত জামারাতুল আকাবা (শেষ জামারা), দ্বিতীয়ত জামারাতুল উস্তা (মধ্যম জামারা) এবং তৃতীয়ত জামারাতুল উলা (প্রথম জামারা)।

 

মহান আল্লাহ কাবা শরিফকে নিজের ঘর বলে ঘোষণা করেছেন

মূল কার্যক্রম

৮ জিলহজ : হজ পালনকারীরা ফজরের পর গোসল করেন। হজের নিয়ত করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েন। এরপর মিনার দিকে রওনা হন।

৯ জিলহজ : মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে আরাফার দিকে রওনা হন। ইমাম সাহেবের খুতবা শোনেন। মসজিদে নামিরার আশপাশে থাকার চেষ্টা করেন। জোহর ও আসরের নামাজ এক আজানে দুই ইকামতে কসর ও দুই ওয়াক্ত একসঙ্গে আদায় করেন।

মুজদালিফায় অবস্থান : মাগরিবের আজানের পর মুজদালিফার দিকে রওনা হন। পথে মাগরিবের সময় শেষ হয়ে গেলেও নামাজ না পড়ে মুজদালিফায় পৌঁছে পবিত্র হন। এরপর মাগরিব ও ইশার নামাজ কসর পড়েন। সঙ্গে বিতর পূর্ণ আদায় করেন। রাতে সুযোগ হলে অন্যান্য ইবাদত করেন। ৯ জিলহজ রাত ও ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। মুজদালিফা থেকে ৭০টি খেজুরের বিচি বা তার চেয়ে ছোট ধরনের পাথরখণ্ড সংগ্রহ করে নেন। মিনা থেকেও সংগ্রহ করা যায়।

১০ জিলহজ মিনার কার্যক্রম : এদিন শুধু বড় জামারায় সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। এটি ওয়াজিব। কঙ্কর নিক্ষেপ শেষে জামারাকে বাঁ-পাশে রেখে কেবলামুখি হয়ে দোয়া করেন। কোরবানির টাকা আগে দিয়ে থাকলে কোরবানি হয়ে গেছে ভেবে মাথা মুণ্ডন করেন। সেক্ষেত্রে হালাল অবস্থায় ফেরা হয়। এদিন সম্ভব হলে এখান থেকেই কাবা গিয়ে ফরজ তাওয়াফ ও সাঈ করে মিনায় ফিরেন।

১১ জিলহজ : এদিন সূর্য ঢলার পর ২১টি কঙ্কর নিয়ে জামারার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ছোট জামারাকে সাতটি, মধ্যমকে সাতটি এবং বড়কে সাতটি করে মোট ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। যদি ১০ তারিখে তাওয়াফ ও সাঈ না করে থাকেন, তাহলে এদিন তাওয়াফ ও সাঈ করেন।

১২ জিলহজ : আগের দিনের মতো এ দিনও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। এ দিন মক্কায় ফিরেন। আগে তাওয়াফ ও সাঈ না করে থাকলে এদিন করতে পারেন।

১৩ জিলহজ : যদি এদিন মিনায় থাকেন, তাহলে আগের দিনের মতো আজও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করে মক্কায় ফিরেন। যদি তাওয়াফ ও সাঈ না করে থাকেন, তাহলে আজ তা পালন করতে পারেন। যদি এদিন মিনায় থাকেন, তাহলে ১৪ তারিখে আবারও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করে মক্কায় ফিরে আসেন।

বিদায়ী তাওয়াফ : তাওয়াফের নিয়ত করে কাবাঘরের হাজরে আসওয়াদের কোনা থেকে শুরু করে চারপাশে সাতবার ঘোরাকে তাওয়াফ বলা হয়। হাজিরা হজে গিয়েই প্রথমে তাওয়াফ করেন। একে ‘তাওয়াফে কুদুম’ বলে। এটি সুন্নত। বিদায়ী তাওয়াফ মক্কা ছাড়ার আগে করতে হয়।

রসুল (সা.)-এর রওজা জিয়ারত :

হজের আগে বা পরে অবশ্যই মদিনা মোনাওয়ারা ও রসুল (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করতে হয়। এখানে শুয়ে আছেন রসুলুল্লাহ (সা.)-সহ তাঁর অসংখ্য সাহাবি।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান

কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান

মসজিদুল হারাম : পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান মসজিদুল হারাম। এটি পবিত্র কাবাঘর ঘিরে অবস্থিত।  কাবাঘরের চারদিকে অবস্থিত তাওয়াফের স্থানকে ‘মাতাফ’ বা চত্বর বলা হয়। কাবার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মাতাফ থেকে দেড় মিটার ওপরে হাজরে আসওয়াদ। পাথরটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সমান। প্রায় এক হাত। এ পাথরটিই মাকামে ইবরাহিম বা ইবরাহিম (আ.)-এর দাঁড়ানোর স্থান। তিনি এর ওপর দাঁড়িয়ে কাবাঘর নির্মাণ করেছেন। ইবরাহিম (আ.)-এর অলৌকিকতার কারণে শক্ত পাথরটি ভিজে তাতে তাঁর পায়ের দাগ বসে যায়। আজও সেই ছাপ রয়েছে। কাবাঘরের উত্তরে অর্ধবৃত্তাকার উঁচু প্রাচীরে ঘেরা একটি স্থান রয়েছে। যাকে বলা হয় ‘হাতিম’। দুনিয়াতে আল্লাহর যত অনুপম নিদর্শন আছে, এর মধ্যে ‘জমজম কূপ’ অন্যতম। এর পানি সর্বাধিক স্বচ্ছ, উৎকৃষ্ট, পবিত্র ও বরকতময়। রসুল (সা.) বলেন, ‘জমজমের পানি হলো পৃথিবীর বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ পানি। এতে রয়েছে তৃপ্তির খাদ্য ও ব্যাধির আরোগ্য।’ (জামে কাবির-১১০০৪)।

মসজিদে নববি : মদিনায় রসুল (সা.) নিজেই একটি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। যা মসজিদে নববি হিসেবে পরিচিত। মসজিদে নববি মুসলমান শাসকদের দ্বারা বহুবার সংস্কার ও সম্প্রসারিত হয়েছে। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে মসজিদে নববির গম্বুজে রঙের আস্তরণ দিয়ে সবুজ বানান ওসমানি সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ।

সাফা-মারওয়া : সাফা-মারওয়া মক্কায় অবস্থিত প্রসিদ্ধ দুটি পাহাড়। হজ ও ওমরার অংশ হিসেবে দুই পাহাড়ের মাঝে সাতবার আসা-যাওয়া করতে হয়। একসময় মক্কায় কোনো বসতি ছিল না। চারপাশ ছিল ধু-ধু মরুভূমি।  আল্লাহর নির্দেশে তখন ইবরাহিম (আ.) তাঁর স্ত্রী হাজেরা ও পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সেখানে রেখে আসেন। হাজেরা ইবরাহিম (আ.)-কে বললেন, ‘আপনি আমাদের কার কাছে রেখে যাচ্ছেন?’ ইবরাহিম (আ.) বললেন, ‘আল্লাহর কাছে।’ হাজেরা বললেন, ‘আমি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ হাজেরার কাছে অল্প কিছু খাবার ও পানি ছিল। দেখতে দেখতে একসময় তা ফুরিয়ে গেল। চারদিকে ছিল কাঠফাটা রোদ। উত্তপ্ত বালুকণা। এদিকে তৃষ্ণার্ত শিশু ইসমাইল। ব্যাকুল হয়ে পড়েন হজরত হাজেরা। ছেলের তেষ্টা মেটাতে দিগি¦দিক ছুটে বেড়ান। একবার সাফা পাহাড়ে ওঠেন, আবার সেখান থেকে নেমে আসেন। ফিরে দেখেন কলিজার টুকরা শিশুকে। ঢালুতে এসে ইসমাইল (আ.) চোখের আড়াল হয়ে যেত। তাই দৌড়ে পর্বত পেরোতেন। চড়তেন মারওয়ায়। এভাবে সাতবার দৌড়ান। আল্লাহর কাছে হাজেরার এ কাজ খুবই পছন্দ হলো। শেষ নবীর উম্মতের জন্য তা অবধারিত করলেন।

আরাফা : মক্কা থেকে ১৫ মাইল পূর্বে তায়েফের পথে অবস্থিত এক মরূদ্যান আরাফা। ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত জাবালে রহমত। আরাফা শব্দের অর্থ পরিচিতি। হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.) মহান আল্লাহর নির্দেশে জান্নাত থেকে বেরোনোর পর পৃথিবীতে পরস্পরকে খুঁজতে খুঁজতে আরাফায় এসে মিলিত হন। এ কারণে এর নাম আরাফা। জিলহজ মাসের ৯ তারিখকে আরাফার দিন বলা হয়। আরাফার ময়দানে অবস্থান করাই হলো হজ। আরাফার দিনটি মূলত হজের দিন।

মিনা : মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। আর আরাফার ময়দান থেকে মিনা ১৬ কিলোমিটার। হজ সম্পন্ন করতে হাজিদের প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়। মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের কাজটি মূলত ইবরাহিম (আ.)-এর অনুসরণে প্রতীকী আমল হিসেবে করা হয়। ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নযোগে তাঁর প্রিয় বস্তু আল্লাহর জন্য কোরবানি করতে আদেশ পান, তখন তিনি কয়েকবার উট কোরবানি করেন। এরপরও তাঁকে স্বপ্নে কোরবানির আদেশ দেওয়া হয়। তিনি বুঝলেন, তাঁর সন্তান ইসমাইলের কথা বলা হচ্ছে। কারণ, তখন তাঁর কাছে ইসমাইলের চেয়ে প্রিয় অন্য কিছু ছিল না। তিনি ছেলেকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করতে মিনায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় শয়তান তাঁকে বিপথে নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্ত হয়। সে মিনার তিনটি স্থানে ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-কে কুমন্ত্রণা দিল। তাঁদের আল্লাহর আদেশ পালন থেকে বিরত রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করল। কুমন্ত্রণার বিপরীতে তিনি সেই তিন স্থান থেকে পাথর নিক্ষেপ করে শয়তানকে বিতাড়িত করেন।

জমজমের কূপ এক বিস্ময়

জমজমের কূপ এক বিস্ময়

মুসলমানদের কাছে জমজমের পানি অতি বরকতময় ও পবিত্র। হাদিসে এ পানির অশেষ কল্যাণ ও বরকতের কথা উল্লেখ রয়েছে। মক্কার মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত জমজম কূপ। এই কূপের কাছে একটি শক্তিশালী পাম্প মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিনের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা হয়। লাখ লাখ মানুষ তৃপ্তিভরে পানি পান করেন এবং পাত্রে ভরে নিয়ে যান। কাবা শরিফের বিভিন্ন জায়গায় পাইপলাইনের মাধ্যমেও জমজমের পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। ইসলামের ইতিহাসে জমজম কূপের উৎপত্তি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। নবী হজরত ইবরাহিম (আ.) তাঁর স্ত্রী হাজেরা (আ.) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে মক্কার বিরান মরুভূমিতে রেখে আসেন। তাঁর রেখে যাওয়া খাদ্য, পানীয় শেষ হয়ে গেলে হজরত হাজেরা পানির সন্ধানে পার্শ্ববর্তী সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে ছোটাছুটি করেছিলেন। এ সময় হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পায়ের আঘাতে ভূমি থেকে পানি বেরিয়ে আসে। অন্য একটি বর্ণনানুসারে, আল্লাহ জিবরাইল (আ.)-কে সেখানে প্রেরণ করেন, জিবরাইলের পায়ের আঘাতে মাটি ফেটে পানির ধারা বেরিয়ে আসে। ফিরে এসে এই দৃশ্য দেখে হাজেরা (আ.) পাথর দিয়ে পানির ধারা আবদ্ধ করলে তা কূপে রূপ নেয়। জমজম কূপ বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়। প্রথম থেকে এটি বালু ও পাথর দিয়ে ঘেরা অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে খলিফা আল মনসুরের সময় এর ওপর গম্বুজ এবং মার্বেল টাইলস বসানো হয়। পরবর্তীতে খলিফা আল মাহদি এটি আরও সংস্কার করেন। ২০১৭-১৮ সালে সৌদি বাদশাহ এটি সংস্কার করেন। বর্তমানে কূপটি কাবা চত্বরে দেখা যায় না। এটি ভূগর্ভস্থ অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং কূপটি থেকে পাম্পের সাহায্যে প্রতিদিন ২০ লক্ষাধিক ব্যারেল পানি উত্তোলিত হয়। ইসলামের ইতিহাসে শৈশবে মহানবী (সা.)-এর বক্ষ বিদারণ বা সিনা চাক করে কলিজার একটি অংশ বের করে তা এই জমজম কূপের পানিতে ধুয়ে আবার যথাস্থানে স্থাপনের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর
মূল্যবান যা কিছু...
মূল্যবান যা কিছু...
রহস্যময় গোপন স্থান
রহস্যময় গোপন স্থান
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
ফ্লজিস্টন তত্ত্ব : বৈজ্ঞানিক কল্পনা থেকে বাস্তবতার পথে
ফ্লজিস্টন তত্ত্ব : বৈজ্ঞানিক কল্পনা থেকে বাস্তবতার পথে
কোল্ড ফিউশন : উনবিংশ শতাব্দীর যে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল
কোল্ড ফিউশন : উনবিংশ শতাব্দীর যে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল
স্টেডি-স্টেট ইউনিভার্স : মহাবিশ্বের এক চিরন্তন রহস্যের সমাপ্তি
স্টেডি-স্টেট ইউনিভার্স : মহাবিশ্বের এক চিরন্তন রহস্যের সমাপ্তি
বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি : এন-রে এবং ফ্রান্সের একটি কাল্পনিক বিকিরণ
বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি : এন-রে এবং ফ্রান্সের একটি কাল্পনিক বিকিরণ
নতুন বরফ যুগের সূচনা : যে ধারণা শুধুই রহস্যের জন্ম দিয়েছিল
নতুন বরফ যুগের সূচনা : যে ধারণা শুধুই রহস্যের জন্ম দিয়েছিল
বিজ্ঞানের ভয়ানক যত ভুল
বিজ্ঞানের ভয়ানক যত ভুল
সর্বশেষ খবর
ডেঙ্গুতে মারা গেলেন সাংবাদিকের স্ত্রী
ডেঙ্গুতে মারা গেলেন সাংবাদিকের স্ত্রী

এই মাত্র | ডেঙ্গু আপডেট

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

৩০ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ফরিদপুরে দুইবাসের সংঘর্ষে নিহত ৩
ফরিদপুরে দুইবাসের সংঘর্ষে নিহত ৩

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রে হামলার দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রে হামলার দাবি রাশিয়ার

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রামুতে ৭ বছরের শিশু অপহৃত, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
রামুতে ৭ বছরের শিশু অপহৃত, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৮ জেলায় বন্যার সতর্কতা
৮ জেলায় বন্যার সতর্কতা

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

মঙ্গলগ্রহে ‘হেলমেট আকৃতির’ রহস্যময় শিলা খুঁজে পেল নাসার রোভার
মঙ্গলগ্রহে ‘হেলমেট আকৃতির’ রহস্যময় শিলা খুঁজে পেল নাসার রোভার

১১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ঢাকায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার
ঢাকায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

গাইবান্ধা জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মতবিনিময়
গাইবান্ধা জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মতবিনিময়

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : আসিফ মাহমুদ
সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : আসিফ মাহমুদ

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এবার নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের ঘোষণা দিল নরওয়ে
এবার নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের ঘোষণা দিল নরওয়ে

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ২৫২
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ২৫২

৩২ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

নেতানিয়াহুর ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা কাতারের
নেতানিয়াহুর ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা কাতারের

৩৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাশ্মীরের হড়কা বানে ১২ জনের মৃত্যু
কাশ্মীরের হড়কা বানে ১২ জনের মৃত্যু

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাইবান্ধায় বিদ্যুতায়িত হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
গাইবান্ধায় বিদ্যুতায়িত হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চানখারপুলে ৬ হত্যা: প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
চানখারপুলে ৬ হত্যা: প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

দুদক সংস্কারে দুই মাসের মধ্যে প্রস্তাবিত আইন প্রণয়ন : আসিফ নজরুল
দুদক সংস্কারে দুই মাসের মধ্যে প্রস্তাবিত আইন প্রণয়ন : আসিফ নজরুল

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁদাবাজির ঘটনায় কোনো উপদেষ্টা জড়িত কিনা, স্পষ্ট করা দরকার : সালাহউদ্দিন
চাঁদাবাজির ঘটনায় কোনো উপদেষ্টা জড়িত কিনা, স্পষ্ট করা দরকার : সালাহউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে
পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পীরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া গ্রেফতার
পীরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে মোদির ওপর নাখোশ ট্রাম্প, জানালেন ভারতীয় কূটনীতিক
যে কারণে মোদির ওপর নাখোশ ট্রাম্প, জানালেন ভারতীয় কূটনীতিক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী সপ্তাহেই সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব
আগামী সপ্তাহেই সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী মহাশোভাযাত্রা শনিবার
চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী মহাশোভাযাত্রা শনিবার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সীমান্ত লাউডস্পিকার অপসারণের কথা অস্বীকার উত্তর কোরিয়ার
সীমান্ত লাউডস্পিকার অপসারণের কথা অস্বীকার উত্তর কোরিয়ার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পীরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান
বাবলু মিয়া গ্রেফতার
পীরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তরুণদের বাইরে রেখে রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়: ইসরাফিল খসরু
তরুণদের বাইরে রেখে রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়: ইসরাফিল খসরু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কাশ্মীরে হড়কা বানে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
কাশ্মীরে হড়কা বানে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানের যুদ্ধের হুমকির জবাবে মিঠুন চক্রবর্তীর বিস্ফোরক মন্তব্য!
পাকিস্তানের যুদ্ধের হুমকির জবাবে মিঠুন চক্রবর্তীর বিস্ফোরক মন্তব্য!

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রয়োজনীয় ৩৩ প্রকার ওষুধের দাম কমলো
প্রয়োজনীয় ৩৩ প্রকার ওষুধের দাম কমলো

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির দুঃখ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী : এনডিএম মহাসচিব
এনসিপির দুঃখ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী : এনডিএম মহাসচিব

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাদাপাথরে বিছিয়ে দেওয়া হলো জব্দকৃত ১২ হাজার ঘনফুট পাথর
সাদাপাথরে বিছিয়ে দেওয়া হলো জব্দকৃত ১২ হাজার ঘনফুট পাথর

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

চীনা নৌবাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
চীনা নৌবাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে রাশিয়া ‘খুবই গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করবে: ট্রাম্প
যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে রাশিয়া ‘খুবই গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করবে: ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে কমিশনের প্রথম সভা আজ
সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে কমিশনের প্রথম সভা আজ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর গ্রেফতার
সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ইসরায়েল কি ভেতর থেকে ভেঙে পড়ছে?
ইসরায়েল কি ভেতর থেকে ভেঙে পড়ছে?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরে ১১ স্বামীকে খুন, অতঃপর ধরা পড়লেন যেভাবে
২২ বছরে ১১ স্বামীকে খুন, অতঃপর ধরা পড়লেন যেভাবে

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টিকটকার প্রিন্স মামুন আবারও গ্রেফতার
টিকটকার প্রিন্স মামুন আবারও গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ ‌‘মৃত ভোটারের’ সঙ্গে চা খেলেন রাহুল গান্ধী
৭ ‌‘মৃত ভোটারের’ সঙ্গে চা খেলেন রাহুল গান্ধী

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুয়েতে বিষাক্ত মদ পানে ১০ প্রবাসীর মৃত্যু
কুয়েতে বিষাক্ত মদ পানে ১০ প্রবাসীর মৃত্যু

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জনগণই নির্ধারণ করবে আগামী দিনে কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে : নিপুণ রায়
জনগণই নির্ধারণ করবে আগামী দিনে কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে : নিপুণ রায়

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক তিন গভর্নর ও ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব
সাবেক তিন গভর্নর ও ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রেস সচিবের দায়িত্ব শেষে সাংবাদিকতায় ফিরে যাব: শফিকুল আলম
প্রেস সচিবের দায়িত্ব শেষে সাংবাদিকতায় ফিরে যাব: শফিকুল আলম

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহু পথ হারিয়ে ফেলেছেন : নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহু পথ হারিয়ে ফেলেছেন : নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে নিয়োগ পেলেন পাঁচ শিক্ষাবিদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে নিয়োগ পেলেন পাঁচ শিক্ষাবিদ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাগদান সারলেন শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন, পাত্রী কে
বাগদান সারলেন শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন, পাত্রী কে

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনাকে ফেরত চেয়ে মোদি বরাবর চিঠি
হাসিনাকে ফেরত চেয়ে মোদি বরাবর চিঠি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ আগস্ট)

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জম্মুতে জব্দ অক্ষয় কুমারের গাড়ি
জম্মুতে জব্দ অক্ষয় কুমারের গাড়ি

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা : ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্র পরিবর্তন
৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা : ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্র পরিবর্তন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কা সম্মেলনের আগে ফোনে পুতিন-কিমের ফোনালাপ
ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কা সম্মেলনের আগে ফোনে পুতিন-কিমের ফোনালাপ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অত্যাধুনিক ইন্টারনেট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল চীন
অত্যাধুনিক ইন্টারনেট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল চীন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা উত্তর কোরিয়ার
ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা উত্তর কোরিয়ার

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪ বিভাগে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
৪ বিভাগে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার যমুনা সেতু অবরোধ করল শিক্ষার্থীরা, উত্তরবঙ্গ-ঢাকা যোগাযোগ বন্ধ
এবার যমুনা সেতু অবরোধ করল শিক্ষার্থীরা, উত্তরবঙ্গ-ঢাকা যোগাযোগ বন্ধ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ড. ইউনূস এখন কী করবেন
ড. ইউনূস এখন কী করবেন

সম্পাদকীয়

পুলিশের পোশাকে লোকদের হিন্দিতে কথা বলতে শুনি
পুলিশের পোশাকে লোকদের হিন্দিতে কথা বলতে শুনি

পেছনের পৃষ্ঠা

লাপাত্তা সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া
লাপাত্তা সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

হঠাৎ বাজারে আগুন
হঠাৎ বাজারে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলিশ গেল কই?
ইলিশ গেল কই?

পেছনের পৃষ্ঠা

লাঠিয়ালের হাজার কোটি টাকার সম্পদ
লাঠিয়ালের হাজার কোটি টাকার সম্পদ

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরেকটি এক-এগারোর ষড়যন্ত্র রুখে দেবে সশস্ত্র বাহিনী
আরেকটি এক-এগারোর ষড়যন্ত্র রুখে দেবে সশস্ত্র বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

মুনতাহার পাশে তারেক রহমান
মুনতাহার পাশে তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

গাড়ির ভিতর দুই লাশের রহস্য উদ্ঘাটন
গাড়ির ভিতর দুই লাশের রহস্য উদ্ঘাটন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিতে প্রার্থীর ছড়াছড়ি মাঠে জামায়াত প্রার্থী
বিএনপিতে প্রার্থীর ছড়াছড়ি মাঠে জামায়াত প্রার্থী

নগর জীবন

আকবরের দেশত্যাগের গুঞ্জন, আতঙ্কিত রায়হানের মা
আকবরের দেশত্যাগের গুঞ্জন, আতঙ্কিত রায়হানের মা

পেছনের পৃষ্ঠা

কিস্তি পদ্ধতি বাতিল করে এককালীন সমগ্র পরিশোধের দাবিতে মিছিল
কিস্তি পদ্ধতি বাতিল করে এককালীন সমগ্র পরিশোধের দাবিতে মিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রচার-প্রচারণায় বিএনপি জামায়াতের ছয় নেতা
প্রচার-প্রচারণায় বিএনপি জামায়াতের ছয় নেতা

নগর জীবন

গলায় গামছা মাজায় রশি লাগতে পারে
গলায় গামছা মাজায় রশি লাগতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হারালে ফের ১/১১ সৃষ্টি হবে
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হারালে ফের ১/১১ সৃষ্টি হবে

নগর জীবন

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা তলাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা তলাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা ও অটোরিকশা দিলেন তারেক রহমান
দুই শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা ও অটোরিকশা দিলেন তারেক রহমান

নগর জীবন

কাচ্চি ভাইকে লাখ টাকা জরিমানা
কাচ্চি ভাইকে লাখ টাকা জরিমানা

দেশগ্রাম

খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া কর্মসূচি
খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

কোনো ব্যক্তি বা দলের কথায় বন্ধ হবে না নির্বাচন
কোনো ব্যক্তি বা দলের কথায় বন্ধ হবে না নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রভার প্রবাস জীবন
প্রভার প্রবাস জীবন

শোবিজ

সাদাপাথর এলাকায় দুদক টিম
সাদাপাথর এলাকায় দুদক টিম

পেছনের পৃষ্ঠা

উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন
উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগের প্রতিবাদ সম্পাদক পরিষদের
গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগের প্রতিবাদ সম্পাদক পরিষদের

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় মোদিকে প্রতিবাদপত্র দিল জাগপা
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় মোদিকে প্রতিবাদপত্র দিল জাগপা

নগর জীবন

চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

খবর

পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

পেছনের পৃষ্ঠা