তেহরানে হামলার জন্য ইসরায়েলকে ‘কঠোর শাস্তি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ’র প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিশ্চিত করেছেন যে, পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হামলায় শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হয়েছেন।
খামেনি বলেন, “আমাদের প্রিয় দেশে অপরাধ চালানোর জন্য ইসরায়েল তার দুষ্ট এবং রক্তাক্ত হাত খুলে দিয়েছে। আবাসিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়ে তার বিদ্বেষপূর্ণ প্রকৃতি আগের চেয়েও বেশি প্রকাশ করেছে।”
তিনি বলেন, “এই অপরাধের মাধ্যমে ইহুদিবাদী সরকার একটি তিক্ত এবং বেদনাদায়ক পরিণতির জন্য প্রস্তুত হয়েছে এবং এটি অবশ্যই তারা পাবে।”
ইসরায়েল জানিয়েছে, তেহরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি ঠেকাতে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অঞ্চলে ইসরায়েলের হামলা চালানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তেহেরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অঞ্চলে ইসরায়েলের হামলা চালানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইসরায়েল এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘রাইজিং লায়ন’।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রেকর্ডকৃত এক ভিডিও বার্তায় জানান, “আমরা ইসরায়েলের ইতিহাসের একটি নির্ণায়ক মুহূর্তে আছি।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল একটি অভিযানে ইরানের পারমাণবিক বোমা নির্মাণে যুক্ত বিজ্ঞানী, তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং নাতাঞ্জের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং এই অভিযান যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ অব্যাহত রয়েছে।” সূত্র: বিবিসি, টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/একেএ