শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:৪২, বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ আপডেট: ০৮:৪৩, বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে

ড. মো. মিজানুর রহমান
অনলাইন ভার্সন
সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী শুধু একটি সামরিক সংগঠন নয়, এটি জাতির অস্তিত্ব, মর্যাদা ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। স্বাধীনতার রক্তাক্ত সংগ্রাম থেকে জন্ম নেওয়া এই বাহিনী আজ দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ, জাতীয় ঐক্যের প্রতিচ্ছবি এবং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গর্বের পতাকা বহনকারী শক্তি। মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্যসাধারণ ভূমিকার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্ম হয়েছিল এক অনন্য আদর্শে—দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও নৈতিকতার মিশ্রণে। তাদের এই মর্যাদা শুধু সামরিক দক্ষতা বা অস্ত্রশক্তির কারণে নয়; বরং তা এসেছে নৈতিকতার দৃঢ় মেরুদণ্ড থেকে।

আজ পাঁচ দশক পরেও সেই চেতনা অম্লান। রাষ্ট্র যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত, তখন প্রথম এগিয়ে আসেন সেনা সদস্যরা। যখন জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে এই বাহিনীরই বীর সন্তানরা বিশ্বে শান্তি স্থাপনে আত্মনিয়োগ করেন, যখন দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অস্থিরতা বা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা দেখা দেয়, তখন জনগণের আস্থা ফিরে আসে এই বাহিনীর দিকেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামরিক বাহিনীর মধ্যে দুর্নীতি, দলবাজি বা স্বজনপ্রীতির কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানও ধ্বংস হয়েছে—এমন উদাহরণ অজস্র।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য এই শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা শুধু একটি সামরিক বাহিনী নয়; বরং দেশের জনগণের সর্বোচ্চ আস্থার প্রতীক। এই আস্থা শুধু অস্ত্রের জোরে নয়; এটি জন্ম নিয়েছে শৃঙ্খলা, সততা ও নিঃস্বার্থ সেবার ঐতিহ্য থেকে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ, রাজনীতি ও প্রযুক্তির পরিবর্তনে নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। গুজব, বিভ্রান্তি, ব্যক্তিগত স্বার্থ বা অল্পসংখ্যক সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ড—এগুলো যদি প্রশ্রয় পায়, তাহলে পুরো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। তাই এখনই প্রয়োজন সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে সেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে আরো দৃঢ়ভাবে পুনর্জাগরিত করা, যেখানে প্রত্যেক সদস্য বলবে, ‘অপরাধীকে দায়ী করুন, সেনা বাহিনীকে নয়’। 

ইতিহাসে দেখা গেছে, যখন কোনো বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নৈতিক দুর্বলতা প্রবেশ করে, তখন বাহ্যিক শক্তি যতই থাকুক না কেন, সেই প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামরিক বাহিনীর মধ্যে দুর্নীতি, দলবাজি বা স্বজনপ্রীতির কারণে কত প্রতিষ্ঠানও ধ্বংস হয়েছে—এমন উদাহরণ অজস্র। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য এই শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা শুধু একটি সামরিক বাহিনী নয়; বরং দেশের জনগণের সর্বোচ্চ আস্থার প্রতীক। অন্যদিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা দেখায় যে যখন সামরিক বাহিনী জনগণের সঙ্গে সংযোগ হারায়, তখন সেই বাহিনী ধীরে ধীরে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত সেই ভুল পথে যায়নি—তারা দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করেছে। কিন্তু এই ধারাবাহিক ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাঝেও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা সামাজিক আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামনে তাই আজ দুটি কাজ সমানভাবে জরুরি—একদিকে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসের বন্ধন আরো দৃঢ় করা, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণভাবে শৃঙ্খলা ও নৈতিক মূল্যবোধের কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া। এই দুই দিক সমানভাবে শক্তিশালী থাকলে কোনো প্রোপাগান্ডা বা গুজবই তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারবে না। কারণ জনগণের ভালোবাসাই সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা। এই ভালোবাসা একদিনে অর্জিত হয়নি—এটি এসেছে দীর্ঘ ত্যাগ, সততা ও নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে। এখন দায়িত্ব সেই আস্থাকে অটুট রাখা, যাতে ভবিষ্যতের প্রজন্মও একইভাবে গর্ব করে বলতে পারে—বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, তারা অপরাধকে ‘না’ বলে, তারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায়। সেনাবাহিনীর নিজস্ব বিচারব্যবস্থা, যা সামরিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি জরিমানা, পদহ্রাস, সাময়িক বহিষ্কার বা গুরুতর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বহিষ্কার বা কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। কোর্ট মার্শাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ও নিয়মনীতি বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা।

তবে নৈতিকতা শুধু শাস্তির ভয় দিয়ে টিকিয়ে রাখা যায় না। এটি গড়ে তুলতে হয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং উদাহরণের মাধ্যমে। এ জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে নেতৃত্ব, দায়িত্ববোধ, চরিত্র গঠন ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। একজন অফিসার বা সৈনিককে শেখানো হয়, ‘অস্ত্র তোমাকে শক্তি দেয়, কিন্তু নৈতিকতা তোমাকে সম্মান দেয়।’ এ কারণে সেনাবাহিনীতে নৈতিকতা শুধু ব্যক্তিগত মূল্যবোধ নয়; এটি প্রাতিষ্ঠানিক বেঁচে থাকার শর্ত। বাহিনীর সুনাম, কার্যকারিতা, এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি—সবকিছুই এর সঙ্গে সম্পর্কিত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘকালীন সফলতা এসেছে এই নৈতিক সংস্কৃতি থেকেই। যেখানে অনেক দেশের সৈন্য দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অসদাচরণের অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের সেনারা সব সময় পেশাদারিত্ব ও সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

বিশ্বের ইতিহাসে দেখা গেছে, যেসব দেশে সেনাবাহিনী রাজনীতিতে অতিমাত্রায় জড়িয়ে পড়েছে, সেখানে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও বাহিনীর ভাবমূর্তি—দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তান, মায়ানমার কিংবা আফ্রিকার কিছু রাষ্ট্র এর উদাহরণ। সেখানে রাজনীতি সেনাবাহিনীর মধ্যে দলীয় বিভাজন এনেছে, আর সেনাবাহিনী রাজনীতির খেলায় জড়িয়ে পড়েছে নিজের অজান্তেই। ফলাফল—প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার অবক্ষয় ও জনগণের আস্থাহানি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত এই বিপজ্জনক পথ থেকে দূরে থেকেছে, যা একটি বড় সাফল্য।

আজকের যুগে রাজনীতি ও প্রশাসনের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা বেড়েছে। সেনাবাহিনীর অনেক অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এখন বেসামরিক প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, যা এক অর্থে স্বাভাবিক নাগরিক অধিকার, কিন্তু অপরদিকে এটি সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিতে সূক্ষ্ম প্রভাব ফেলতে পারে। জনগণ প্রায়ই সক্রিয় বা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের বক্তব্য বা কর্মকাণ্ডকে বাহিনীর অফিশিয়াল অবস্থানের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। এই বিভ্রান্তি দূর করতে সেনাবাহিনীর উচিত আরো স্পষ্ট যোগাযোগ নীতি গ্রহণ করা, যেখানে বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান ও ব্যক্তিগত মতের মধ্যে পরিষ্কার পার্থক্য থাকবে।

এ ছাড়া দেশের রাজনীতিতে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা বা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রতি ঝুঁকে পড়া যদি বাহিনীর কিছু সদস্যের মধ্যেও দেখা দেয়, তাহলে সেটি বাহিনীর পেশাদারির জন্য মারাত্মক হুমকি। একইভাবে অর্থনৈতিক প্রভাব ও করপোরেট অংশগ্রহণের বিষয়টিও এখন আলোচনায় আসে। একজন পেশাদার সৈনিক রাজনীতির দিকে তাকায় না; সে তাকায় তার দায়িত্ব, কর্তব্য এবং জাতির সম্মানের দিকে। রাজনীতি ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্ব স্থায়ী। এই নীতি অনুসরণ করেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছে—বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে, যেখানে নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতা হলো মূল মাপকাঠি।

রাজনীতি ও ক্ষমতার প্রলোভন প্রতিটি সমাজেই থাকে। কিন্তু যে বাহিনী এই প্রলোভনকে অগ্রাহ্য করে, ইতিহাসে সেই বাহিনীই টিকে থাকে সম্মানের সঙ্গে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আজ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা এসেছে দীর্ঘদিনের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও নৈতিক প্রশিক্ষণের ফলে। এ অবস্থান অটুট রাখতে হলে বাহিনীর ভেতরে ‘রাজনীতির প্রতি নিরপেক্ষতা’কে একটি সাংস্কৃতিক নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ শুধু দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষক নয়, তারা পৃথিবীর শান্তিরক্ষী। জাতিসংঘের নীল পতাকার নিচে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা যে সম্মান অর্জন করেছেন, তা শুধু সামরিক সাফল্য নয়, এটি এক অনন্যমানবিক ইতিহাস। সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী পাঠানোর সেরার তালিকায় বাংলাদেশ। গত ৩৭ বছরে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের এক গর্বিত অংশীদারে পরিণত হয়েছে। ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪৩টি দেশ ও স্থানে ৬৩টি জাতিসংঘ মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন।

আইএসপিআরের তথ্য অনুসারে গত ২৮ মে পর্যন্ত এসব মিশনে মোট দুই লাখ ৫৫৮ জন শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে নারী শান্তিরক্ষী তিন হাজার ৬৪৫ জন।  সেনাবাহিনী থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন এক লাখ ৬২ হাজার ৩৫ জন। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের পাঁচ হাজার ৬৯৬ জন শান্তিরক্ষী ছিলেন। এর মধ্যে ৯টি মিশনে সেনাবাহিনীর সদস্য প্রায় পাঁচ হাজার। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের একটি। 
বাংলাদেশ ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম স্থানে ছিল। তার আগেও কখনো প্রথম, কখনো দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বহু গৌরবময় অধ্যায়ের অংশ বাংলাদশের শান্তিরক্ষীরা,  যা একদিকে জাতির জন্য গর্ব, অন্যদিকে সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলা, মানবিক সংবেদনশীলতা ও নৈতিক নিরপেক্ষ ভূমিকা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডে বিশেষভাবে প্রশংসিত। কিন্তু এই গৌরব অর্জনের পথ একেবারে সহজ ছিল না। নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু আজ পর্যন্ত অনেক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত  ১৬৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ দিয়েছেন। তাঁরা রক্ত দিয়ে লিখেছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদার ইতিহাস। এই আত্মত্যাগ শুধু সংখ্যায় পরিমাপযোগ্য নয়। শান্তিরক্ষীরা বিদেশে কর্মরত থেকে পরিবার ও দেশের অর্থনীতিতে এ পর্যন্ত প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছেন, যা সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব একাধিকবার বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন—বিশেষত নারী শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার জন্য। ২০২৩ সালে জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ নারী শান্তিরক্ষায় বৈশ্বিক নেতৃত্বের উদাহরণ।’

এক কথায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ যে মর্যাদা ও বিশ্বাসের অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে, তার মূল কারণ তাদের অভ্যন্তরীণ নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা। অপরাধ ও দুর্নীতিকে ‘না’ বলা শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি সেনাবাহিনীর আত্মপরিচয়ের অংশ। এই চেতনাই এ বাহিনীকে অনন্য করে তুলেছে দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক পরিসরেও। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা, নৈতিকতা ও ভাবমূর্তির আন্তর্জাতিক প্রতিফলন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, প্রযুক্তি, তথ্যযুদ্ধ, প্রতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও তথ্য-নিরপেক্ষতার ভারসাম্য বজায় রেখে সামরিক শক্তি ও নৈতিক শক্তির মধ্যকার সঠিক সমন্বয় সাধন করেছে।

কোনো পেশাদার বাহিনীর ভেতরে যদি কিছু সদস্য লোভ, ক্ষমতা বা প্রভাবের প্রলোভনে নীতিভ্রষ্ট হয়, তবে তা শুধু একটি ব্যক্তির নয়, পুরো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করে। গণমাধ্যম বা সামাজিক প্ল্যাটফর্মে একটি অপরাধের খবর, সেটি যত ক্ষুদ্রই হোক, বহুগুণে ছড়িয়ে পড়ে। তখন সাধারণ মানুষ বাহিনীর নৈতিকতার ওপর প্রশ্ন তোলে, যদিও এই বাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সৎ ও নিষ্ঠাবান। তবে এর দায় শুধু বাহিনীর নয়, নাগরিকসমাজ, গণমাধ্যম ও রাষ্ট্রের প্রতিটি দায়িত্বশীল অংশকেও সমানভাবে সচেতন হতে হবে। গুজব ও প্রোপাগান্ডার যুগে তথ্য যাচাই না করে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করা শুধু একটি বাহিনী নয়, পুরো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাঠামোকেই দুর্বল করে।

বাংলাদেশে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে এবং সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে উচ্চপদস্থ কিছু সেনা কর্মকর্তার নামে যে ‘আয়নাঘর, গুম, খুন বা বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট’ ইত্যাদি ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো নিয়ে প্রায়ই সেনাবাহিনীকে সরাসরি যুক্ত করার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। তবে বাস্তবতা হলো, এ ধরনের কার্যক্রমে যারা জড়িত, তারা মূলত ব্যক্তিগত লোভ, লালসা বা সরকারের চাপে বাধ্য হয়ে এমন কাজ করেছে। এটি কোনোভাবেই পুরো সেনাবাহিনী বা তার নীতি ও কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

সেনাবাহিনী দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি অঙ্গীভূত এবং কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে অনিয়ম বা অপরাধমূলক কার্যক্রমে যুক্ত হয় না। তাই এ ধরনের ঘটনাকে পুরো সেনাবাহিনীর নামে প্রচার করা তথ্যবহুল নয় এবং বিভ্রান্তিকর। বাস্তবধর্মী মূল্যায়ন নির্দেশ করে যে এ ধরনের অপরাধ মূলত ব্যক্তিগত দায়িত্ব ও নৈতিক পতনের ফল, যা রাষ্ট্রীয় আইন ও বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে সমাধানযোগ্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠোর শৃঙ্খলা, সংবিধানসম্মত কার্যক্রম এবং দেশপ্রেমের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। কোনো কর্মকর্তার ব্যক্তিগত বা সাবেক কিছু কর্মকর্তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পুরো সেনাবাহিনীর সঙ্গে মেলানো ভিত্তিহীন এবং প্রকৃত সত্যের বিপরীত।

পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু একটি সামরিক প্রতিষ্ঠান নয়, এটি জাতির নৈতিক ও সাংস্কৃতিক মর্যাদার প্রতীক। ‘সেনাবাহিনীকে নয়; বরং অপরাধীকে দায়ী করুন’ নীতি এই প্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি। এটি শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি সেনাবাহিনীর নৈতিক চেতনা, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের প্রতিফলন। প্রতিটি সদস্যের হৃদয়ে এই নীতি বাস্তবায়নই বাহিনীর শক্তি, জনগণের আস্থা ও দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করে।

লেখক: অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস
অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস
স্পর্শকাতর পণ্যের সুরক্ষা উপেক্ষিত ছিল
স্পর্শকাতর পণ্যের সুরক্ষা উপেক্ষিত ছিল
নানা সূচকে ‘ইমেজ ক্রাইসিসে’ বাংলাদেশ
নানা সূচকে ‘ইমেজ ক্রাইসিসে’ বাংলাদেশ
রাজনৈতিক আকাশে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ
রাজনৈতিক আকাশে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
এইচএসসির ফল দিয়ে নির্বাচনি ভাবনা
সুষ্ঠু নির্বাচন : সেনাবাহিনীর আরো মানোন্নয়নের সুযোগ
সুষ্ঠু নির্বাচন : সেনাবাহিনীর আরো মানোন্নয়নের সুযোগ
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
সর্বশেষ খবর
অল্প হাঁটাতেও কমে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি: হার্ভার্ডের গবেষণা
অল্প হাঁটাতেও কমে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি: হার্ভার্ডের গবেষণা

এই মাত্র | হেলথ কর্নার

বিলুপ্ত মিঠাপানির কুমিরের দেখা মিললো রাজশাহীর পদ্মায়
বিলুপ্ত মিঠাপানির কুমিরের দেখা মিললো রাজশাহীর পদ্মায়

১১ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঢাকার বাতাসের মান আজ অস্বাস্থ্যকর
ঢাকার বাতাসের মান আজ অস্বাস্থ্যকর

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্লুটো যেভাবে গ্রহের মর্যাদা হারায়
প্লুটো যেভাবে গ্রহের মর্যাদা হারায়

৪১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

বিশ্বনাথে অসময়ে তরমুজ চাষ, লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক
বিশ্বনাথে অসময়ে তরমুজ চাষ, লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দুই লাইটার জাহাজের সংঘর্ষ, ১৩ ক্রুকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড
দুই লাইটার জাহাজের সংঘর্ষ, ১৩ ক্রুকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডাকাতি-ছিনতাই, নদীতে লাশ বেড়েছে
ডাকাতি-ছিনতাই, নদীতে লাশ বেড়েছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আকাশ
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আকাশ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাইওয়ানের প্রযুক্তি মেলায় যাচ্ছেন কম্পিউটার সমিতির ২৯ সদস্য
তাইওয়ানের প্রযুক্তি মেলায় যাচ্ছেন কম্পিউটার সমিতির ২৯ সদস্য

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চোটে জর্জরিত দল নিয়েও বার্সার ছয় গোলের জয়, লোপেজের হ্যাটট্রিক
চোটে জর্জরিত দল নিয়েও বার্সার ছয় গোলের জয়, লোপেজের হ্যাটট্রিক

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সহযোগী অধ্যাপক হলেন ১০২ চিকিৎসক
সহযোগী অধ্যাপক হলেন ১০২ চিকিৎসক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস, শিক্ষার্থী নিহত ২০ হাজার
ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস, শিক্ষার্থী নিহত ২০ হাজার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ রাসায়নিক কারখানায় হামলা
স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ রাসায়নিক কারখানায় হামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাগরে লঘুচাপ, ভারি বৃষ্টির আভাস
সাগরে লঘুচাপ, ভারি বৃষ্টির আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে
সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস
অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

দ্বৈত নিয়ন্ত্রণে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা: ড. ফাহমিদা খাতুন
দ্বৈত নিয়ন্ত্রণে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা: ড. ফাহমিদা খাতুন

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, বিক্ষোভ ঢাবিতেও
মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, বিক্ষোভ ঢাবিতেও

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লিবিয়া তহবিল কেলেঙ্কারিতে ৫ বছরের সাজা, কারাগারে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট
লিবিয়া তহবিল কেলেঙ্কারিতে ৫ বছরের সাজা, কারাগারে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক : তানজিন তিশা
গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক : তানজিন তিশা

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পিচ দেখে ভেবেছিলাম আমার টিভি নষ্ট: আকিল
পিচ দেখে ভেবেছিলাম আমার টিভি নষ্ট: আকিল

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও দিতে হবে ১০০ টাকা
স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও দিতে হবে ১০০ টাকা

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তরুণদের জন্য রাইজ এখন এআই–চালিত ডিজিটাল হাব
তরুণদের জন্য রাইজ এখন এআই–চালিত ডিজিটাল হাব

৯ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ অক্টোবর)

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
‘মাসখানেক আগেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহির’
‘মাসখানেক আগেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহির’

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পাশে দাঁড়াল প্রতিবেশী আরব দেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি
ইরানের পাশে দাঁড়াল প্রতিবেশী আরব দেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, বিক্ষোভ ঢাবিতেও
মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, বিক্ষোভ ঢাবিতেও

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার, কেরানীগঞ্জ পৌরসভা
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার, কেরানীগঞ্জ পৌরসভা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকবে কি না, সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের: রিজভী
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকবে কি না, সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের: রিজভী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের ৮০ কর্মকর্তার পদোন্নতি
পুলিশের ৮০ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বেতন কমিশনের প্রতিবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিল
বেতন কমিশনের প্রতিবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জিরা ভেজানো পানির ৬ উপকারিতা
জিরা ভেজানো পানির ৬ উপকারিতা

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

খার্তুম বিমানবন্দর চালুর আগেই ড্রোন হামলা
খার্তুম বিমানবন্দর চালুর আগেই ড্রোন হামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে একমাত্র মুনাফাকারী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক: বিটিএমএ সভাপতি
দেশে একমাত্র মুনাফাকারী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক: বিটিএমএ সভাপতি

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারা গেছে রাঙামাটির সেই ‘গোলাপি হাতি’
মারা গেছে রাঙামাটির সেই ‘গোলাপি হাতি’

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৪ বলে ৩৯ রান, তবু সুপার ওভারে নেই রিশাদ! প্রতিপক্ষও অবাক
১৪ বলে ৩৯ রান, তবু সুপার ওভারে নেই রিশাদ! প্রতিপক্ষও অবাক

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি ‘বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি ‘বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স, স্বাক্ষরিত হতে পারে প্রতিরক্ষা চুক্তি
ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স, স্বাক্ষরিত হতে পারে প্রতিরক্ষা চুক্তি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনেকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলছেন ট্রাম্প
যে কারণে হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলছেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে ইসরায়েলে উড়ে গেলেন জেডি ভ্যান্স
যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে ইসরায়েলে উড়ে গেলেন জেডি ভ্যান্স

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিকটকে আশ্লীলতা, আদালতের নির্দেশে বিয়ে করতে হচ্ছে দুই নাইজেরিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে
টিকটকে আশ্লীলতা, আদালতের নির্দেশে বিয়ে করতে হচ্ছে দুই নাইজেরিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সুস্থ থাকতে দিনে কয়টি ডিম খাবেন
সুস্থ থাকতে দিনে কয়টি ডিম খাবেন

২৩ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সেই পর্ন-তারকা যুগল ৫ দিনের রিমান্ডে
সেই পর্ন-তারকা যুগল ৫ দিনের রিমান্ডে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইউক্রেন ‌‘বধে’ শীতকেই হাতিয়ার বানাচ্ছেন পুতিন!
ইউক্রেন ‌‘বধে’ শীতকেই হাতিয়ার বানাচ্ছেন পুতিন!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলে বিনা নোটিশে বন্ধ হবে গণমাধ্যমের পোর্টাল : ফয়েজ আহমদ
‌জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলে বিনা নোটিশে বন্ধ হবে গণমাধ্যমের পোর্টাল : ফয়েজ আহমদ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আরামের আড়ালে মারণফাঁদ
আরামের আড়ালে মারণফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

চলতি মাসেই ২০০ প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির
চলতি মাসেই ২০০ প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক আসনে বিশেষ গুরুত্ব জামায়াতের
শতাধিক আসনে বিশেষ গুরুত্ব জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবার
ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবার

শোবিজ

প্রশাসনের প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এ কে আজাদ
প্রশাসনের প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এ কে আজাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

সিআইডির নজর মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে
সিআইডির নজর মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

গৌরীকে শাহরুখের বিশেষ বার্তা
গৌরীকে শাহরুখের বিশেষ বার্তা

শোবিজ

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হেরে গেল বাংলাদেশ
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হেরে গেল বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল মিরপুর
ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল মিরপুর

মাঠে ময়দানে

নারী, দখল, চাঁদাবাজি হারুনের যত কেলেঙ্কারি
নারী, দখল, চাঁদাবাজি হারুনের যত কেলেঙ্কারি

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী হবে তত্ত্বাবধায়ক
অন্তর্বর্তী হবে তত্ত্বাবধায়ক

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুঁকি নিয়েই ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ‘মিথানল’
ঝুঁকি নিয়েই ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ‘মিথানল’

পেছনের পৃষ্ঠা

হিন্দু ভোটার টানতে তৎপর বিএনপি জামায়াত
হিন্দু ভোটার টানতে তৎপর বিএনপি জামায়াত

নগর জীবন

ঢাকায় ‘শাম-ই-নুসরাত’
ঢাকায় ‘শাম-ই-নুসরাত’

শোবিজ

এনসিপিতে এখনো শুরু হয়নি প্রার্থী বাছাই
এনসিপিতে এখনো শুরু হয়নি প্রার্থী বাছাই

প্রথম পৃষ্ঠা

উচ্ছ্বসিত কেন ঐশী
উচ্ছ্বসিত কেন ঐশী

শোবিজ

ত্রিভুজ প্রেমের বলি জবি ছাত্র জোবায়েদ
ত্রিভুজ প্রেমের বলি জবি ছাত্র জোবায়েদ

প্রথম পৃষ্ঠা

সাঁতারে দিনটি ছিল রাফির
সাঁতারে দিনটি ছিল রাফির

মাঠে ময়দানে

আসরানির শেষ পোস্ট
আসরানির শেষ পোস্ট

শোবিজ

আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারিনা
আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারিনা

মাঠে ময়দানে

গলফার সামিরের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন
গলফার সামিরের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

২৪ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা
২৪ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

দাবি পূরণ, আজ ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা
দাবি পূরণ, আজ ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

এ তুফান ভারী দিতে হবে পাড়ি
এ তুফান ভারী দিতে হবে পাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

মারা গেছে রাঙামাটির বিরল গোলাপি হাতি
মারা গেছে রাঙামাটির বিরল গোলাপি হাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ক্ষতি ৪ হাজার কোটি
ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ক্ষতি ৪ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহপাঠীদের পিটুনিতে মৃত্যু শিক্ষার্থীর
সহপাঠীদের পিটুনিতে মৃত্যু শিক্ষার্থীর

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ১ কোটি ৩৭ লাখ
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ১ কোটি ৩৭ লাখ

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন গ্রেপ্তার ৩
নারী হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন গ্রেপ্তার ৩

পেছনের পৃষ্ঠা