নাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল আজিজ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আগে কোনো মাস্টারপ্ল্যান ছিল না। আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে গভীর ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছি
সামান্য বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় নারায়ণগঞ্জ শহর। হাঁটুর ওপরে পানি উঠে যায়। অনেক সময় পথশিশুরা এই পানিতে সাঁতারে মেতে ওঠে। সেই সঙ্গে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হয় নারায়ণগঞ্জ শহরবাসীকে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিল্প ও বাণিজ্য নগরী নারায়ণগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা, যানজটসহ নানাবিধ নাগরিক সমস্যায় ধুঁকছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ছিল না কোনো মাস্টারপ্ল্যান। সম্প্রতি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পরে গত বছর জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি গভীর নালা নির্মাণকাজ শুরু করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন।
যার ধারাবাহিকতায় শহরের প্রধান ব্যস্ততম সড়কের একাধিক স্থানে সড়কের ওপর নির্মাণসামগ্রী ও যন্ত্রাংশ রাখায় প্রতিনিয়ত যানজটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী। যেখানে সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি ও ড্রেনগুলো উন্মুক্ত থাকায় বিপাকে পড়েছেন পথচারী ও ব্যবসায়ীরাও। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেনগুলোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ড্রেনগুলো ভাঙাচোরা, সরু পাইপ দিয়ে বৃষ্টির পানি না যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গভীর ড্রেনগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
এ বিষয়ে নাসিকের ঠিকাদার ফয়সাল বলেন, পুরোনো ড্রেন ভেঙে নতুন করে গভীর ড্রেন নির্মাণ করার কারণে সময় একটু বেশি লাগছে। তবে আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করতে পারব।
নাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল আজিজ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আগে কোনো মাস্টারপ্ল্যান ছিল না। আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে গভীর ড্রেন নির্মাণকাজ শুরু করেছি। যে কোনো বড় নির্মাণকাজে জনসাধারণের কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে গভীর ড্রেনগুলোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থাকবে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, আগামী বর্ষায় এই নগরীতে জলাবদ্ধতা হবে না। বর্ষা মৌসুমের আগেই নগরীতে চলমান গভীর নালার নির্মাণকাজ শেষ হবে। ফলে এর সুবিধা পেতে শুরু করবেন নগরবাসী। পাশাপাশি শহরে ফুটপাত দখলমুক্ত করা, যানজট নিরসনসহ জনসেবার বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে সিটি করপোরেশন আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে।