গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে শহর। এর মাঝেই নানা রঙের ফুলের বাহারে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, জারুল, সোনালুসহ নানা রঙের ফুলে সেজেছে সবুজ শহর রাজশাহী। পথের কাছের এ নির্মল সৌন্দর্যে চাইলেই হারিয়ে যেতে পারেন যে কেউ। এ গ্রীষ্মে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, কাঞ্চন, জারুল, কাঠগোলাপের মায়া আর রূপ মনে শান্তির পরশ বইয়ে দিচ্ছে নগরবাসীর। প্রকৃতি মেতেছে রঙের খেলায়। গ্রীষ্মের খরতাপেও তার রূপ-রস মনে বইয়ে দেয় প্রশান্তির সুবাতাস। কৃষ্ণচূড়ার লালচে আভায় নগরীতে যেন লেগেছে উৎসবের ছোঁয়া। লাল-সবুজে যেন মন মাতায় তপ্ত উদাসী দুপুরেও। শহরের নানা প্রান্তে কৃষ্ণচূড়ার জয়জয়কার। ইট পাথরের মায়াহীন শহরেও যেন বুলিয়ে দিচ্ছে ভালোবাসার পরশ।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি সড়কেই ফুলের গাছ রোপণ করা হয়েছে। সেগুলোর পরিচর্যা করা হয়। সারা বছরই নানা ফুল ফোটে।
পিছিয়ে নেই হলদে আভায় দৃষ্টিকাড়া সোনালু। যেন প্রেয়সীর কানের দুল। থরে থরে ঝুলে থাকা সবুজ পাতার ফাঁকে হলদে আভা যে কাউকে মুগ্ধ করবে। চোখের আরামের জন্য প্রকৃতির উপহার বুঝি এমনই সুন্দর। সবুজের মাঝে জারুলের নাচন।
বেগুনি মায়ায় দৃষ্টি ফেরাতে পারে কজন। তপ্ত দুপুরে যেন আকাশের সঙ্গে তার সখ্য। রাজশাহী নগরীর সড়কদ্বীপে এখন রাজত্ব এমন বাহারি ফুলের।
কবি ও লেখক আলমগীর মালেক বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি সড়কেই এখন ফুলের বাগান। সড়ক বিভাজকের মাঝে ফুটেছে নানা ধরনের ফুল। যা নাগরিক মনকে আন্দোলিত করে।