দিনের বেলায় ব্যস্ত নগরী, রাত নামতেই ভয়ের রাজত্ব! সিলেটের রাত যেন এখন আতঙ্কের অন্য নাম। অন্ধকার নেমে এলেই নগরীর অলিগলি থেকে শুরু করে মহাসড়ক—সবখানেই সক্রিয় হয়ে ওঠে ছিনতাইকারীরা। একের পর এক ছিনতাই আর নাগরিকদের হাহাকার—এমন দৃশ্য এখন সিলেট নগরের নিত্যচিত্র।
গত এক মাসে (১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর) বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত ছিনতাই ও বিশেষ অভিযানে অন্তত ১২ জন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। দিন দিন বেড়ে চলা এই অপরাধপ্রবণতা শহরের মানুষকে ফেলেছে গভীর উদ্বেগে। দিনদিন যেন বেড়েই চলছে এমন অপরাধের প্রবণতা।
জানা গেছে, সিলেটে গত এক মাসে (১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর) বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত ছিনতাই ও বিশেষ অভিযানে অন্তত ১২ জন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। ৬ সেপ্টেম্বর সিলেটের ওসমানীনগরে বিশেষ অভিযানে তিন ছিনতাইকারী আটক হয়। তাদের কাছ থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, তিনটি মোবাইল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা-খোজারখলা থেকে ভোর রাতে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করার সময় তিন ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযানে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইল ও ছুরি উদ্ধার হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর সিলেটের মোগলাবাজার এলাকায় থানা পুলিশের টহল দলের হাতে ধরা পড়ে আরও দুই ছিনতাইকারী। এ সময় তারা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি ফারুক মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশ কিছু ছিনতাইকারীকে ধরলেও আতঙ্ক কমছে না। রাতের শহরে নিরাপদ চলাফেরার জন্য পর্যাপ্ত স্ট্রিটলাইট ও সিসিটিভি দরকার। শুধু গ্রেফতার নয়, প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ জোরদার করতে হবে।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ‘রাতের টহল আরও বাড়ানো হয়েছে। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নগরবাসী যদি দ্রুত আমাদের খবর দেন, তাহলে পুলিশের আরও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন