দিনাজপুর সদর-৩ আসনে বিএনপির ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা হলেন- দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন ও সাবেক মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হকের বড় ছেলে শাহরিয়ার আক্তার হক ডন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (পদ স্থগিত) বখতিয়ার আহম্মেদ কচি ও সহসভাপতি হাফিজুর রহমান। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়নুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ খাইরুজ্জামান ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী সংগঠনের জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম।
এ ছাড়াও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে গেলে সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শফি রুবেল। ভোটের মাঠে দেখা না গেলেও এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী রেজাউল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে। দিনাজপুরের উন্নয়নের কান্ডারি হিসেবে পরিচিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন প্রয়াত মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হক (চকলেট) এর বড় ছেলে শাহরিয়ার আক্তার হক ডন দলীয় মনোনয়ন পেলে তার মায়ের উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো করবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, আমি তৃণমূল থেকে উঠে আসা বিএনপির কর্মী। ইউপি চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছিলাম। জেল-জুলুম সহ্য করে বিএনপির রাজনীতি করে এসেছি। বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। দল মূল্যায়ন করলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করব। বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মোকাররম হোসেন বলেন, আমি এই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালে মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমাকে মনোনয়ন দিলে এলাকার উন্নয়ন করব ইনশাল্লাহ।
ইসলামী আন্দোলন দিনাজপুরের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ খাইরুজ্জামান বলেন, শান্তির নগর হিসেবে দিনাজপুর গড়ে তুলব। শাসক হব না সেবক হতে চাই। খেলাফত মজলিসের দিনাজপুরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, আমার নির্বাচনে আসার গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দীন কায়েম করা।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর-৩ সদর আসনে ৪ লাখ ২২ হাজার ৯৯৮ জন ভোটার আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।