নাটোর জেলা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) আহ্বায়ক ডা. আমিরুল ইসলাম (৬৬) ত্রিভুজ প্রেমের কারণে ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুল ইসলাম মিয়ার (২৬) হাতে খুন হয়েছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় নিহত চিকিৎসকের জনসেবা হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন প্রেস ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, হাসপাতালের এক সেবিকার প্রেমে পড়েন ডা. আমিরুল। সেই সেবিকা আসাদুলের সঙ্গেও সম্পর্কে ছিলেন। ত্রিভুজ প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় গত ২৫ আগস্ট নিজের শয়নকক্ষে আমিরুল তার ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুল ও সেই সেবিকাকে মারধর করেন। পরে সেদিনই আসাদুলকে চাকরিচ্যুত করা হয়। বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাচ ফকিরপাড়ার ইলিয়াস আকন্দের ছেলে আসাদুল সেদিনই বাড়ি চলে যান। পরে আসাদুল বগুড়া থেকে কালো বোরকা ও দুটি ধারালো ছুরি কেনেন। নিজের কাছে চাবি থাকার সুবাদে ঘটনার দিন রবিবার রাতে আগে থেকেই তিনি আমিরুলের শয়নকক্ষে গোপনে অবস্থান নেন। নিজের প্রেমিকার সঙ্গে ডা. আমিরুলের অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং তাকে তাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন আসাদুল। আদালতে জবানবন্দি দেবেন বলেও পুলিশকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ছুরি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের শেরকোল নিঙ্গইন আইসিটি পার্ক এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে। বোরকাটি সিংড়ার আত্রাই নদীতে ফেলে দেওয়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত চিকিৎসকের স্ত্রী অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে নাটোর থানায় মামলা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের তিন সেবিকাসহ পাঁচজনকে আটক করে। একপর্যায়ে নাটোর শহর থেকে মূল অভিযুক্ত আসাদুলকে আটক করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, আপাতত এ মামলায় একমাত্র আসাদুলকেই গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।