জাতীয় দলের হয়ে শেষবার নেইমারকে মাঠে দেখা গেছে ২০২৩ সালের অক্টোবরে, উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে। সেই ম্যাচেই মারাত্মক এএলসিএল ইনজুরিতে পড়েন তিনি। প্রায় এক বছরের পুনর্বাসন শেষে মাঠে ফিরেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। সৌদি আরবের আল হিলাল ছেড়ে পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু করা ক্লাব সান্তোসে ফিরেছেন নেইমার। মাঠে ফেরা এবং ক্লাব ফুটবলে ইতিবাচক পারফরম্যান্সের পরও জাতীয় দলে ডাক পাননি তিনি।
চলমান বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চিলি ও ১০ সেপ্টেম্বর বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল। এ দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সেলেসাওদের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমারের। কোচ কার্লো আনচেলত্তির অধীনে এটি দ্বিতীয়বার, যখন দলে জায়গা হয়নি এই সুপারস্টারের।
দল ঘোষণার সময় আনচেলত্তি জানিয়েছিলেন, নেইমার ‘হালকা চোটে’ ভুগছেন এবং তিনি এখনো শতভাগ ফিট নন। তার ভাষ্য, তাকে পরীক্ষা করার দরকার নেই। যদি কেউ পুরোপুরি ফিট না থাকে, তাহলে তাকে বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
তবে এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন নেইমার নিজেই। জাতীয় দলে না থাকলেও ক্লাবের হয়ে মাঠে ফিরেছেন তিনি। দল ঘোষণার দু’দিন পরই, ৩১ আগস্ট ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে সান্তোসের জার্সিতে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন নেইমার। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে জানান, তার ফিটনেস কোনো সমস্যা নয়, তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল কোচের 'পুরোপুরি টেকনিক্যাল'।
নেইমার বলেন, 'অ্যাডাক্টর মাসলে হালকা ফোলাভাব ছিল, কিন্তু সেটা গুরুতর কিছু ছিল না। সেজন্য আমি কিছুদিন বিশ্রাম নিয়েছি। আমি বাহিয়ার বিপক্ষে খেলিনি, কারণ ক্লাব আমাকে বিশ্রাম দিয়েছিল। তবে এখন আমি সম্পূর্ণ ফিট এবং আজ পুরো ৯০ মিনিট খেলেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল কোচের, সেটা আমি সম্মান করি। আমার শারীরিক অবস্থার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এখন আমাদের দায়িত্ব জাতীয় দলকে সমর্থন করা।'
বর্তমানে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট তালিকায় ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ইকুয়েডরের সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে সেলেসাওরা। উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে রয়েছে খুব কাছাকাছি, মাত্র ১ পয়েন্ট পেছনে। শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে।
আনচেলত্তির অধীনে গত জুনে বাছাই পর্বের দুই ম্যাচে ব্রাজিল একটিতে জয় পেয়েছে এবং অন্যটি ড্র করেছে। ইকুয়েডরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারায় তারা।
বিডি প্রতিদিন/মুসা