বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নেতৃত্বে পরিবর্তনের গুঞ্জন অবশেষে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁকে বোর্ডে ‘কন্টিনিউ’ করতে চান না।
বুধবার রাতে এক বৈঠকে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয় ফারুককে। যদিও সরাসরি পদত্যাগের কথা বলা হয়নি, তথাপি বার্তাটি পরিষ্কার বলে মনে করছেন ফারুক। তিনি বলেন, “উপদেষ্টা আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি। তবে বলেছেন, আমাকে আর তাঁরা ‘কন্টিনিউ’ করাতে চান না।”
গত ২১ আগস্ট নিয়ম মেনে বিসিবির সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হন ফারুক আহমেদ। এই অবস্থায় তিনি কী করবেন, জানতে চাওয়া হলে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। দেখা যাক, কী হয়।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা আর ফারুকের এমন মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিপদই ডেকে আনতে পারে। কারণ ক্রিকেট প্রশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এ ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তাঁদের। সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিকট অতীতেই আছে।
ফারুককে সরিয়ে দেওয়া হলে বাংলাদেশের ওপরও নেমে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। আবার ফারুক পদত্যাগ করলেও প্রমাণ করা মুশকিল যে এই সিদ্ধান্ত সরকারি প্রভাবমুক্ত নয়।
বিডি প্রতিদিন/মুসা