ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) পরের আসরে বারবাডোজ রয়্যালসের হয়ে আর খেলবেন না জেসন হোল্ডার। ১৩ বছর পর নতুন দল বেছে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
সিপিএলের আসছে মৌসুমের জন্য ৩৩ বছর বয়সী হোল্ডারকে দলে টেনেছে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হবে সিপিএলের ড্রাফট। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বারবাডোজকে মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান শেরফেইন রাদারফোর্ডকে দিয়ে হোল্ডার ও আরেক মিডল-ব্যাটসম্যান আলিক আথানেজকে দলে নিয়েছে সেন্ট কিটস।
সিপিএলের প্রথম আসর ২০১৩ সাল থেকে বারবাডোজের হয়ে খেলে আসছেন হোল্ডার। দলটির জার্সিতে দুটি শিরোপা জিতেছেন তিনি। প্রথমবার এই অনির্বচনীয় স্বাদ পান ২০১৪ সালে, কাইরন পোলার্ডের নেতৃত্বে। পরে ২০১৯ সালে দলটির দ্বিতীয় ও শেষবার শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন হোল্ডার।
সিপিএলে এখন পর্যন্ত ১০৪ ম্যাচ খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। ওভারপ্রতি ৭.৪৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৯৭ উইকেট। দুইবার পেয়েছেন চার উইকেটের স্বাদ। ৮৫ ইনিংসে দুই ফিফটি ও ১২৯.৬০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন এক হাজার ১৬৯ রান।
এখন আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলা রাদারফোর্ডের সিপিএলে এটি তৃতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি। গত চার মৌসুম তিনি প্রতিনিধিত্ব করেছেন সেন্ট কিটসের। এর আগে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ছিলেন গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সে। আথানেজ এখন পর্যন্ত সিপিএলে দুইটি আসরে খেলেছেন, ২০২৩ ও ২০২৪ দুইবারই বারবাডোজের হয়ে। এই টুর্নামেন্টে ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের ১৯ ম্যাচে রান ৩৪৪, স্ট্রাইক রেট ১০৬.৬৩, ফিফটি একটি।
সিপিএলে গত মৌসুমটা খুবই বাজে কাটে সেন্ট কিটসের। ১০ ম্যাচের মধ্যে কেবল একটি জিতে পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে থেকে আসর শেষ করে তারা। আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গায়ানের বিপক্ষে হেরে বাদ পড়ে বারবাডোজ। ফাইনালে গায়ানাকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা জেতে সেন্ট লুসিয়া কিংস।
আগামী ১৫ অগাস্ট শুরু হবে সিপিএলের ত্রয়োদশ আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুদা ফ্যালকন্সের মুখোমুখি হবে হোল্ডারদের সেন্ট কিটস। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ