ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অধ্যায়গুলোর একটির সমাপ্তি টেনেছেন বিরাট কোহলি। টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে যাত্রা শেষ করলেন দীর্ঘ ১৪ বছরের এক গৌরবময় অধ্যায়। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে তার হয়েছিল একান্ত আলাপ। শাস্ত্রী জানালেন—এই সিদ্ধান্তে বিন্দুমাত্র দোটানা ছিল না কোহলির এবং অবসরের পর কোনো আফসোসও নেই তার, আত্মতৃপ্তি নিয়েই কোহলি টেস্ট ছেড়েছেন।
কোহলির অধিনায়কত্বের বেশিরভাগ সময় ভারতের প্রধান কোচ হিসেবে ছিলেন শাস্ত্রী। দ্য আইসিসি রিভিউ-তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেন, “ওর (বিরাট কোহলি) ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে আমি ওর সঙ্গে কথা বলি। সে বলেছিল, টেস্ট ক্রিকেটকে সে তার সব দিয়ে ফেলেছে। তার চোখে কোনো সংশয় দেখিনি। তখনই বুঝেছিলাম, সময়টা এসেছে। মন তার শরীরকে বলে দিয়েছে, এবার বিদায় নেওয়ার সময়।”
শাস্ত্রী আরও বলেন, “ওর মনে কোনো আফসোস নেই। হয়ত অনেকেই চায় ও আরো খেলুক, কিন্তু সে ভবিষ্যতের কথা ভাবে। ওয়ানডে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে কোহলির। তাই এই সিদ্ধান্তে তার কোনো অনুশোচনা থাকার প্রশ্নই আসে না।”
টেস্টকে বিদায় বললেও, এখনো ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন না কোহলি। সামনে রয়েছে একদিনের ক্রিকেটের মঞ্চ এবং বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, যেখানে তার অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সের ছাপ রাখতে চান তিনি। শাস্ত্রী বলেন, “ও বিশ্বাস করে, ওয়ানডে ফরম্যাটে সে এখনো দারুণভাবে অবদান রাখতে পারবে। সামনে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও আছে ওর জন্য।”
শাস্ত্রীর মতে, “গত এক দশকে ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভক্ত-সমর্থক বিরাটের। তার উদযাপন, তার তীব্রতা শুধু ড্রেসিং রুমেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে দর্শকদের ঘরেও। এমন ‘ইনফেকশাস পার্সোনালিটি’ খুব কম দেখা যায়।”
২০১১ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্টে পা রেখেছিলেন কোহলি। গত ১৪ বছরে খেলেছেন ১২৩ টেস্ট, ৩০ সেঞ্চুরিসহ করেছেন ৯২৩০ রান।
সূত্র: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, এনডিটিভি, গালফ নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজিম