পরিচিত ভেন্যু সিলেটে বছরের প্রথম টেস্ট খেলবেন নাজমুলরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদা পোশাক ও লাল বলের ম্যাচ খেলতে নামার আগে নতুন ক্রিকেট খেলার বার্তা দিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল। সিলেটের পরিচিত উইকেটে বার্তার ঠিক বিপরীত ক্রিকেটটাই খেলেন নাজমুলরা। ফল একদিন আগেই হার। সফরকারী জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ের বিপক্ষে লড়াই করতে ব্যর্থ নাজমুল বাহিনী ৩ উইকেটে হেরে পিছিয়ে পড়েছে সিরিজে।
অন্যদিকে, যে দল নিয়ে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছে, সেই দলের সম্মিলিত টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ৮১ ম্যাচ। আর ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম একাই খেলেছেন ৯৪ টেস্ট। সুতরাং জিম্বাবুয়ের জন্য চতুর্থ দিনে রান তাড়া করা নতুন অভিজ্ঞতাই বটে। সেই রান তারা সফলভাবে তাড়া করে রীতিমতো রেকর্ড গড়ে জিতে নিল সিলেট টেস্ট।
১৯৪ রানের লক্ষ্যে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর বাংলাদেশি স্পিনারদের তোপে তারা দ্রুত কিছু উইকেট হারায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি তারা ৩ উইকেটে জিতে নেয়। ম্যাচ শেষে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন অকপটে স্বীকার করে নিলেন যে, তার দল অনভিজ্ঞ হওয়ায় রান তাড়ার সময় নার্ভাস হয়ে পড়েছিল।
আরভিনের ভাষায়, ‘ড্রেসিংরুম কিছুটা টেনশনে ছিল। আমরা সাধারণত চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করার অবস্থায় থাকি না, তাই ব্যাপারটা নতুন ছিল। আসলে এটা বেশি ছিল জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে আসা একধরনের নার্ভাসনেস। আমরা জিততে চেয়েছিলাম, যেকোনো কিছুর চেয়েও বেশি।’
দারুণ জয় শেষে বড় দলগুলোর বিপক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগের দাবিও জানিয়ে রাখলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক, ‘যত বেশি টেস্ট ম্যাচ জেতা যাবে, ততই দল নজরে আসবে। টেস্ট যতটা কঠিন হোক না কেন, এটা সেই ফরম্যাট যা খেলোয়াড়রা খেলতে চায় এবং উন্নতি করতে চায়। টেস্ট ক্রিকেট সত্যিকার অর্থে খেলোয়াড়দের পরীক্ষা নেয় চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে। ছোট দলগুলো শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো ও কঠিন টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চায়। কারণ, এটাই একমাত্র পথ দল হিসেবে উন্নতি করার।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ