জ্ঞান ফিরেছে তামিম ইকবালের। তবে মাত্র কয়েক মুহূর্তের ভুল সিদ্ধান্তই তামিম ইকবালের জীবন বিপন্ন করে দিতে পারতো! বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার তামিম ইকবাল হার্ট অ্যাটাকের পর দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। হেলিকপ্টারও প্রস্তুত ছিল, তবে শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকরা একটি ভয়াবহ সতর্কবার্তা দেন-‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তামিমকে নেওয়া হলে, হয়তো তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হতো না।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। প্রথমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মনে করে ওষুধ নেওয়া হলেও কিছু সময় পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখনই তাকে সাভারের কেপিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুটা সুস্থ অনুভব করলে তিনি নিজেই ঢাকায় যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করতে বলেন।
ঠিক তখনই আসে এক বড় সংকট। বিকেএসপির কোচ মন্টু দত্ত গণমাধ্যমে জানালেন, যখন হেলিকপ্টার নামানো হয়েছিল, তামিম বুঝতে পেরে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার চেষ্টা করেন এবং বিকেএসপির দিকে ফিরে যেতে চান। কিন্তু ওই সময়ে তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। চিকিৎসকরা তখন জানান, আকাশপথে তাকে নিয়ে গেলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হতো না।
শেষ মুহূর্তের ওই সিদ্ধান্তই হয়তো তামিমের জীবন বাঁচিয়েছে। দ্রুত কেপিজি হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে ব্লক শনাক্ত করেন এবং সফলভাবে রিং পরানো হয়। হাসপাতালের পরিচালক ডা. রাজিব জানান, তার শারীরিক অবস্থা অনুকূলে আছে। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের জ্ঞান ফিরেছে। জ্ঞান ফেরার পর তামিম তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারাও তামিমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে শারীরিক পর্যবেক্ষণের জন্য ৪৮ ঘণ্টা কেপিজি বিশেষায়িত হাসপাতালেই থাকবেন বলে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা