সুন্দরবনে বাঘের তাড়া খেয়ে মোংলার পশুর নদী সাঁতরে লোকালয়ে চলে আসা দুইটি হরিণ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। পরে হরিণ দুই পুনরায় বনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনের করমজলের ঠিক উল্টো দিকে পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের মোংলার সিন্ধুরতলা এলাকায় শনিবার সকালে দুইটি চিত্রা হরিণ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তারা আমাদেরকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। চিলা ও বৈদ্যমারী এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে গেলে অনেক লোকজন দেখে হরিণ দুইটি দৌঁড় শুরু করে। পরে সাথের লোকজনের সহায়তায় জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে হরিণ দুইটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া হরিণ দুইটি করমজলের বনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ দুইটিই চিত্রা মায়া (স্ত্রী/নারী) হরিণ। বয়স ৭/৮ বছর হবে।
তিনি বলেন, বাঘের তাড়া খেয়েই সোয়া দুই কিলোমিটার চওড়া পশুর নদী পার হয়ে হরিণ দুইটি লোকালয়ে চলে যায়। হরিণ দুই কারণে আবাসস্থল ছেড়ে লোকালয়ে যেয়ে থাকে। একটি হলো বাঘের তাঁড়া খেয়ে আর দ্বিতীয়টি হলো কাটাস মাছি ও দাস মাছির আক্রমণের শিকার হলে। তবে আমি নিশ্চিত এ দুইটি হরিণ বাঘের তাঁড়া খেয়েই লোকালয়ে চলে গিয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, লোকালয়ের মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। কারণ আগে হরিণ লোকালয়ে গেলে লোকজন লুকিয়ে ও আটকে রাখার চেষ্টা করতো। কিন্তু এখন তারা আর সেটি করছেনা। তাই সুন্দরবন ও বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভাল থাকবে সুন্দরবন।
বিডি প্রতিদিন/এএম