নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় ছিল না ১৫ ক্লাব ও ছয় জেলার নাম। আপত্তি ও শুনানি শেষে গতকাল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আলোচিত ১৫ ক্লাব ফিরে পেয়েছে কাউন্সিলরশিপ। বিসিবির ৬ অক্টোবরের নির্বাচনে ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলররা ভোট দেবেন। কাউন্সিলরশিপ ফিরে পেয়েছে নরসিংদী ছাড়া বাদ পড়া পাঁচ জেলা। সবচেয়ে বেশি আপত্তি পড়েছিল জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের কাউন্সিলরশিপের ওপর। শুনানি শেষে তিনিও ফিরে পেয়েছেন কাউন্সিলরশিপ। তিনি ভোটার রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমির। সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাউন্সিলরশিপের ওপরও অদ্ভুতুড়ে আপত্তি পড়েছিল। শুনানিতে টিকেনি সেই আপত্তি। ওল্ড ডিওএইচএসের কাউন্সিলরশিপ হয়ে ভোট দেবেন এবং ক্যাটাগরি-২ এর পরিচালক পদে নির্বাচন করবেন। সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনার তামিম বিসিবির সভাপতি নির্বাচন করবেন।
৬ অক্টোবর ক্যাটাগরি-১, ২ ও ৩-এ ২৩ পরিচালক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাটাগরি-১-এ ১০ পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭ বিভাগ থেকে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে পরিচালক এবং সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও রাজশাহী থেকে একজন করে ভোটার নির্বাচিত হবেন। ঢাকা বিভাগের দুই পরিচালক নির্বাচিত করবেন নরসিংদী জেলা ছাড়া ঢাকা বিভাগ ও ১৬ জেলা। চট্টগ্রামের দুই পরিচালক নির্বাচিত করবেন ১২ কাউন্সিলর। খুলনা বিভাগের দুই পরিচালক নির্বাচিত করবেন ১১ কাউন্সিলর। সিলেটের ৫ কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন এক পরিচালক। বরিশালের এক পরিচালক নির্বাচিত হবে ৭ কাউন্সিলরের ভোটে। রাজশাহীর এক পরিচালক নির্বাচিত করবেন ৯ কাউন্সিলর এবং রংপুরের এক পরিচালককে নির্বাচিত করবেন ৯ কাউন্সিলর। নরসিংদী জেলা কাউন্সিলরশিপ ফিরে না পাওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হোসেইন বলেন, ‘আমাদের কাছে ই-মেইলে অভিযোগ এসেছিল, যারা কাউন্সিলর হতে চান, তারা অভিযোগ করেছিলেন যে, আমরা যখন ডিসি সাহেবের কাছে গিয়েছি আমাদের নাম জমা দিতে। ডিসি তখন অন্যায়ভাবে আমাদের নাম জমা দেননি। তবে আমরা অ্যাডহক কমিটির সদস্য। যেহেতু তারা অ্যাডহক কমিটির সদস্য, এজন্য তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু নরসিংদীরটি গ্রহণ করা হয়নি। কারণ ওখানে যিনি কাউন্সিলর, তিনি নিজে অ্যাডহক কমিটির সদস্য। তিনি নিজে না হয়ে আরেকজনের নাম প্রস্তাব করেন।’
দুর্নীতির অভিযোগে ১৫ ক্লাবের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। ক্লাবগুলোর আবেদনের শুনানি শেষে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলরশিপ। বিসিবির সাবেক সভাপতির বিপক্ষে ৮-১০টি আপত্তি পড়েছিল। ফারুকের কাউন্সিলরশিপ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক বলেন, যেহেতু খসড়া ভোটার তালিকার জন্য একদিন সময় বাড়ানো হয়েছিল, সেই কারণে ফারুক আহমেদের আবেদন গৃহীত হয়েছে। দেরিতে জমা পড়ার পেছনে উনার কিছু ব্যাখ্যা ছিল।’