মিয়ানমার জয়ে সপ্তাহ পার না হতেই বাংলাদেশে নারী ফুটবল দল আরেকটি বড় আসরে নামছে। অবশ্য জাতীয় নয় জুনিয়ররা লড়বেন। আজই শুরু হচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। উৎসবটা হবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায়। বাংলাদেশ ছাড়া নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের বয়সভিত্তিক দলগুলো আসরে অংশ নেবে। বয়সভিত্তিক হলেও এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা পাওয়া অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারই অনূর্ধ্ব-২০ দলকে নেতৃত্ব দেবেন। খেলবেন আরও আট ফুটবলার। গোলরক্ষক মিলি আক্তার, স্বর্ণারানী, জয়নব বিবি, মুনকী আক্তার, স্বপ্নারানী, সাগরিকা, নবীরণ খাতুন ও উসেলা মারমা। সব মিলিয়ে জুনিয়র দলেও ইতিহাস গড়া বাংলাদেশের ৯ ফুটবলার খেলবেন। এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল ভেন্যু বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় আজ থেকে জমজমাট এক ফুটবল উৎসবের দেখা মিলবে।
উদ্বোধনী দিনেই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার। বিকাল ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে। সন্ধ্যায় আরেক ম্যাচে নেপাল ও ভুটান লড়বে। চার দেশ নিয়ে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট হবে। সর্বোচ্চ পয়েন্ট থাকা দলই চ্যাম্পিয়ন হবে। আগের আসরে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ভারত এবার খেলছে না। ধরা হচ্ছে, এবার শিরোপার মূল লড়াই হবে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে। গতকাল অবশ্য চার অধিনায়ক অভিন্ন সুরে বলেছেন চোখ তাদের শিরোপাতেই। মিয়ানমারের মাটিতেই স্বাগতিকদের হারিয়ে এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়ায় মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী। তার পর প্রতিপক্ষদের সমীহ করছেন অধিনায়ক আফঈদা। তার কথা কাউকে আমরা হালকা চোখে দেখছি না। টুর্নামেন্টে সবাই সেরাটা দিতে চাইবে। বাংলাদেশ সতর্ক হয়েই খেলবে। আফঈদা আবার এটাও বলেছেন, আরেকটি চ্যাম্পিয়নের ট্রফি শোকেসে সাজাতে চাই। শিরোপা ধরে রাখতে হলে প্রতিটি পজিশনে ভালো খেলতে হবে। সাফ ও এশিয়ান কাপ সুযোগ পাওয়া জাতীয় দলের কোচ পিটার বাটলারই অনূর্ধ্ব-২০ দলের প্রশিক্ষক। তার কথা, ‘চোখ তো শিরোপাতেই থাকবে। তবে এ আসর আমার জন্য পরীক্ষাও বলতে পারেন। এখানে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা যেমন আছেন। তেমনি একই বয়সি মেয়েরাও খেলবে। সামনেই এশিয়ান কাপ, আমি দেখতে চাই কারা সেরাটা দিতে পারে । এ থেকে আমি শক্তিশালী দলও গড়তে পারি। আমি বলব, স্বপ্নের জাতীয় দলে খেলার এই তো সময়।’ ফুটবলে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া মেয়েরা বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় লড়বে। এতে দর্শকরা আকর্ষিত হবেনই। ২১ জুলাই সাফ ফুটবল উৎসবের শেষ ম্যাচ। খুব বেশিদিন হয়নি কিংস অ্যারিনায় ফুটবল গড়িয়েছে। অথচ এর মধ্যে কতই না ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেছে ভেন্যুটি। আরেকটি উৎসব বসুন্ধরায়। আর শেষটা যদি বাংলাদেশের শিরোপায় হয় তা তো রঙিন হবেই।