কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে এক নারী ও তার দুই সন্তানকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান জানান, “মামলাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সঠিক তদন্তের স্বার্থে ডিবিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর এসআই নয়ন কুমার বলেন, “আজই তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেছি। এখনো বেশ কিছু বাড়ি জনশূন্য।”
এর আগে মামলার তদন্ত করছিলেন বাঙ্গরা বাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের।
গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহতরা হলেন—খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯)। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৭)।
এ ঘটনায় নিহত রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহকে। ইতোমধ্যে পুলিশ এই মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক