২০২৭ সালের বিশ্বকাপ সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দল পুনর্গঠনের সময় এখন। এই সংস্করণ থেকে স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্কাস স্টয়নিসের অবসরের পর তৈরি হয়েছে অনেক ফাঁকা জায়গা। সেখানে টিম ডেভিডের নাম বিবেচনায় আসবে বলা যায় নিশ্চিতভাবে। তবে বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান বলছেন, ওয়ানডে দলে ফেরার জন্য আপাতত লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে খেলার কোনও পরিকল্পনা তার নেই।
টি-টোয়েন্টির ফিনিশার হিসেবেই বেশি পরিচিত ডেভিড। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নামগুলোর একটি ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ২০২২ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত অংশ তিনি। তার দক্ষতা ওয়ানডে ক্রিকেটেও কাজে লাগবে- এই বিশ্বাসে তাকে ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা। চোটের কারণে তখন বাইরে ছিলেন ম্যাক্সওয়েল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে কোনো লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ না খেলেও সেবার ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছিলেন ডেভিড। অভিষেক সিরিজে চার ম্যাচ খেলে যদিও তিনি ভালো করতে পারেননি। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওই সিরিজে শেষ ওয়ানডেতে খেলার পর আর কোনো লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ তিনি খেলেননি।
টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বিগ ব্যাশের আরও দুই মৌসুমের জন্য হোবার্ট হারিকেন্সের সঙ্গে চুক্তি করেছেন ডেভিড। তবে অস্ট্রেলিয়ায় তার কোনো ঘরোয়া চুক্তি নেই। ২০২১ সালের নভেম্বরে তাসমানিয়ার হয়ে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ওয়ানডে কাপে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। জন্মভূমি সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিত্ব করার আগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তিনি, তারপর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ঘরোয়া চুক্তিতে নেই।
ওয়ানডে থেকে ম্যাক্সওয়েল ও স্টয়নিসের অবসরে ফিনিশার ভূমিকার জায়গাটা এখন শক্ত করতে হবে অস্ট্রেলিয়ার। স্মিথও অবসর নেওয়ায় আগামী বিশ্বকাপ সামনে রেখে ওয়ানডে দল পুনর্গঠন করতে হবে রেকর্ড ছয়বারের চ্যাম্পিয়নদের। তবে ডেভিড বললেন, এই মুহূর্তে ওয়ানডে খেলা নিয়ে কোনো ভাবনা নেই তার।
হ্যামস্ট্রিং চোট থেকে সেরে উঠতে বর্তমানে পার্থে পুনর্বাসন চলছে ডেভিডের। আগামী ২০ জুলাই জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। আইপিএলে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ার পর এক মাস ঘরে বসে কেটেছে তার। ওই চোটে আইপিএলের প্লে-অফে খেলতে না পারলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগ দিয়ে ফেরার ভাবনা ছিল ডেভিডের। কিন্তু তার পুনর্বাসনে প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লেগেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে টানা আটটি টি-টোয়েন্টি খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবিয়ানে খেলবে পাঁচটি, এরপর ঘরের মাঠে তিনটি খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডেও খেলবে তারা। অক্টোবরের শুরুতে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা নিউ জিল্যান্ড সফরে। অক্টোবর-নভেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডের পর খেলবে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ