২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করার পাকিস্তানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের কূটনৈতিক ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ইসলামাবাদ এই প্রস্তাব দিয়েছে।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, এই মনোনয়ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃঢ় কূটনৈতিক পদক্ষেপের স্বীকৃতি, যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এর আগে, পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরের ৬ মে থেকে শুরু হওয়া সামরিক উত্তেজনার সময় ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়। ইসলামাবাদ জানায়, ইতোমধ্যে নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এর আগেও ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতা করায় মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্য বাডি কার্টার ওই মনোনয়ন দেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে ট্রাম্প আগেও একাধিকবার মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমি যুদ্ধ থামিয়েছি, অথচ নোবেল শুধু লিবারেলদের জন্য— তাই ওরা আমাকে দেবে না।
উল্লেখ্য, গেল জুনে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের সুপারিশ করেন। তখন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ এড়াতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে কূটনৈতিক ভূমিকা পালন করেছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ কারণেই জেনারেল মুনির তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের সুপারিশ করেছেন।
তথ্যসূত্র : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও আরব নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/শআ