টাইগারদের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মিরাজ বাহিনী। ক্যান্ডির ৩৫ হাজার আসনের পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচ আজ। যদি টাইগাররা জিতে যান, তাহলে শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। এর আগেও দুবার সিরিজ জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিল টাইগাররা। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দ্বীপরাষ্ট্রের মাটিতে দুই দেশের সিরিজ ১-১ ড্র হয়েছিল। দেশটির বিপক্ষে দুবার অবশ্য সিরিজ জয়ের রেকর্ডস রয়েছে বাংলাদেশের। ঘরের মাটিতে ২০২১ ও ২০২৪ সালে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। দুই দেশ সর্বশেষ সিরিজ খেলেছিল ২০২৪ সালের মার্চে। এবার সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বাংলাদেশ ৭৭ রানে হেরে যায় চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে। দ্বিতীয়টি ১৬ রানে জেতে বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামের ঘূর্ণিতে। বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও মিডিয়ার মুখোমুখিতে বলেছেন সিরিজ জয়ই টার্গেট, ‘আগামীকাল (আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ) জেতার জন্য আমরা চেষ্টা করব। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে দলের সবাই আত্মবিশ্বাসী। ইনশাআল্লাহ আমরা একটি ভালো সিরিজ জিতব।’
পাল্লেকেলে টাইগারদের অপরিচিত ভেন্যু নয়। ২০০৯ সালে স্থাপিত স্টেডিয়ামটিতে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমবার খেলে ২০১৩ সালে। সেবার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি হেরেছিল টাইগাররা। দ্বিতীয়টি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। পাল্লেকেলেতে ছিল তৃতীয় ম্যাচ। তিলকরত্নে দিলশানের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩০২ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত হলে টাইগারদের টার্গেটে দেওয়া হয় ২৭ ওভারে ১৮৩ রান। ২৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান তুলে সিরিজে সমতা এনেছিল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের আগস্টে পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলে টাইগাররা। এবারও বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এশিয়া কাপের গ্রুপ ‘বি’-এর ম্যাচে টাইগাররা ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায়। ৩৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার মাটিতে এবার নিয়ে সপ্তমবার ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। আগের ৬ সিরিজের হেরেছে চারটিতে এবং দুটি ড্র।
২০১৭ সালের পর শ্রীলঙ্কায় পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ হেরেছে। ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। আজ শেষ ওয়ানডে। ১০ জুলাই শুরু হবে ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজ। প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ২৪৪ রানে অলআউট করেছিল মিরাজ বাহিনী। ২৪৫ রানের টার্গেটে অলআউট হয় ১৬৭ রানে। ম্যাচে একটি রেকর্ড গড়েছিল মিরাজ বাহিনী। ১ উইকেটে ১০০ রান থেকে ১০৫ রানে মধ্যে হারায় ৮ উইকেট। ২৭ বলে ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেটের পতন হয়। এর আগে এমন ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটেনি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচে অনেক ক্যাচ মিস করে টাইগাররা। তারপরও ম্যাচটি জেতে ১৬ রানে। প্রথম ব্যাটিংয়ে ৪৫.৫ ওভারে ২৪৮ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। জবাবে ২৩২ রান করে শ্রীলঙ্কা। তানভির ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেই ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতান।