বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় জামাতার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিখোঁজ শ্বশুরের লাশ একটি কচুরিপানায় ভর্তি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে উপজেলার আহুতি বাটরা গ্রামসংলগ্ন খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন আগৈলঝাড়া থানার ওসি অলিউল ইসলাম। নিহতের নাম অখিল হালদার। তিনি উপজেলার রামানন্দেরআক গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় গরুর দুধ বিক্রেতা। অভিযুক্ত জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈ (২৫), উপজেলার বাকাই গ্রামের কানাই বাড়ৈর ছেলে।
পুলিশ জানায়, কৃষ্ণ বাড়ৈকে বিদেশে পাঠানোর জন্য শ্বশুরকে ৪০ হাজার টাকা দেয় তার বাবা। কিন্ত তাকে বিদেশ পাঠানো হয়নি। পরে সেই টাকায় কৃষ্ণের জন্য একটি ভ্যান কেনার সিদ্ধান্ত হয়। গত ২০ আগস্ট ভ্যান কেনার উদ্দেশ্যে অখিল ও কৃষ্ণ একসঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু ভ্যান বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় ভ্যান কেনা সম্ভব হয়নি। ফেরার পথে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে অখিল তার জামাতাকে চড় মারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষ্ণ পাল্টা চড় মারেন ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে শ্বশুরের বুকের ওপর উঠে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ কচুরিপানায় ভর্তি খালে ফেলে দেন।
হত্যার পর শ্বশুরের দুধের কলস ও ভ্যান নিয়ে মাদারীপুরে গিয়ে তা বিক্রি করে দেন কৃষ্ণ।
নিখোঁজের পর অখিল হালদারের স্ত্রী বিউটি হালদার প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং পরে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, অখিলের নিখোঁজের সঙ্গে তার জামাতা জড়িত। পরে কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন এবং তার দেখানো স্থান থেকে শ্বশুরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ