- ২০ মে থেকে শুরু হয়েছে মেয়র অনূর্ধ্ব-১৮ একাডেমি কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টে ২০টি ক্রিকেট একাডেমি ৪ গ্রুপে খেলবে। এই ইভেন্টের পর আরও কয়েকটি ইভেন্টে খেলা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে মেয়রের। ফলে প্রায় ১০ মাস পর চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন জমজমাট হয়ে উঠেছে
দীর্ঘদিন ধরে অভিভাবকহীন চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন। ৫ আগস্টের পর স্থবির হয়ে পড়ে কার্যক্রম। বন্ধ হয়ে পড়ে সিজেকেএস পরিচালিত বার্ষিক ইভেন্টগুলো। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি করার পরও গতি ফেরেনি মাঠে। তবে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের আন্তরিক চেষ্টায় মুখর হয়ে উঠেছে বন্দরনগরীর ক্রীড়াঙ্গন। নানান ইভেন্টের পৃষ্ঠপোষকতায় জমজমাট করে তুলেছেন ক্রীড়াঙ্গন। ক্রীড়াসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অদক্ষদের সিজেকেএসের কমিটিতে আনার ফলে গতি ফেরেনি। এমন অবস্থায় মেয়রের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘আমরা অ্যাডহক কমিটি পেয়েছি জানুয়ারিতে। এজন্য সিজেকেএসের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী খেলাধুলা আয়োজন করতে বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রায় ৩৫টির মতো সিজেকেএসের সাব-কমিটি ছিল, যা নতুন করে করতে হচ্ছে, ফলে একটু সময় লাগছে। তবে আমাদের কার্যক্রম থেমে নেই। জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ থেকে শুরু করে নানান ইভেন্টের কোনো না কোনো খেলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমরা সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে পাশে পেয়েছি, তিনি সার্বক্ষণিক আমাদের সহযোগিতা করছেন এবং সামনেও আমরা এগিয়ে যাব একসঙ্গে। পাশাপাশি সিজেকেএসের যে সব সাব-কমিটি আছে তা করার কার্যক্রমও চলছে।’
জানা যায়, চট্টগ্রামের কাজীরদেউড়ি জেলা স্টেডিয়ামে বিগত সময়ে সারা বছর চলত নানা ইভেন্টের খেলা। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বছরজুড়ে ফুটবল, ক্রিকেটসহ প্রায় ৩০টির মতো নানান ইভেন্ট আয়োজন হতো। কিন্তু ২১ আগস্ট জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি বাতিলের পর নতুন অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব নিয়েও খেলা আয়োজন করতে পারেনি। ফলে স্থবির হয়ে পড়ে ক্রীড়াঙ্গন। এমন পরিস্থিতিতে ক্রীড়াঙ্গনে আলোর দিশারি হয়ে এসেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তারই একান্ত প্রচেষ্টায় শুরু হয়েছে বেশ কয়েকটি ইভেন্ট। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে সিডিএফএ-মেয়র একাডেমি কাপ অনূর্ধ-১৩। ২০ মে থেকে শুরু হয়েছে মেয়র অনূর্ধ্ব-১৮ একাডেমি কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টে ২০টি ক্রিকেট একাডেমি ৪ গ্রুপে খেলবে। এই ইভেন্টের পর আরও কয়েকটি ইভেন্টে খেলা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে মেয়রের। ফলে প্রায় ১০ মাস পর চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন জমজমাট হয়ে উঠেছে। খেলোয়াড়, কোচ এবং ক্রীড়া সংগঠকদের যাতায়াতে মুখর হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামপাড়া কাজীরদেউড়ি।
ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের পর ২১ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি বাতিল করা হয়। প্রায় ৫ মাস পর গঠিত হয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি। জেলা কমিটি অনুমোদনের ৫ মাস পরও কোনো ইভেন্ট আয়োজন দেখা যায়নি। বিপরীতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা জেলা পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন করে পুরো বিভাগে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সিজেকেএসে যোগ্য নেতৃত্ব ও ক্রীড়া সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অ্যাডহক কমিটিতে রাখা হয়নি। ২৬ সদস্যের ক্রিকেট উপকমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন ছয় বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠক।