সম্প্রতি একটি নতুন ধূমকেতু থ্রি-আই/অ্যাটলাস (3I/ATLAS) বৈজ্ঞানিকদের দৃষ্টি কেড়েছে। এটি সৌরজগতের বাইরের কোনো স্থান থেকে এসেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। জুলাই মাসে চিলির একটি টেলিস্কোপে ধরা পড়ে এই ধূমকেতুটি যা নাসার ATLAS (Asteroid Terrestrial-impact Last Alert System) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
থ্রি-আই/অ্যাটলাস প্রায় ১২ মাইল চওড়া এবং প্রতি সেকেন্ডে ৩৭ মাইল বেগে সূর্যের দিকে ছুটে চলেছে। এটি ২০২৫ সালের ৩০ অক্টোবর পৃথিবীর কাছাকাছি, প্রায় ১৩ কোটিরও বেশি মাইল দূর দিয়ে অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুরুতে বিজ্ঞানীরা এটিকে গ্রহাণু মনে করলেও পরে নিশ্চিত হন, এটি আসলে একটি আন্তঃনাক্ষত্রিক (interstellar) ধূমকেতু।
তবে এ নিয়ে নতুন এক তত্ত্ব তুলে ধরেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আভি লোয়েব। তিনি দাবি করেছেন, থ্রিআই/অ্যাটলাস কেবল প্রাকৃতিক কোনো বস্তু নাও হতে পারে—এটি হতে পারে ভিনগ্রহের কোনো প্রযুক্তি।
লোয়েব তার গবেষণাপত্রে বলেন, এই ধূমকেতুর গতি ও গতিপথ অস্বাভাবিক। যদিও এই গবেষণাটি এখনো সহপাঠ-পর্যালোচিত (peer-reviewed) হয়নি এবং তিনি নিজেই একে একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণমূলক অনুশীলন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
লোয়েব ‘গ্যালিলিও প্রজেক্ট’-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন যার লক্ষ্য হলো মহাকাশে ভিনগ্রহের প্রযুক্তি খোঁজা। তার মতে, এই ধরণের নতুন আবিষ্কার বৈজ্ঞানিক কৌতূহল ও অনুসন্ধানের অনুপ্রেরণা জোগানো উচিত। যদিও এর মানে এই নয় যে সত্যিই ভিনগ্রহের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে।
এই ধূমকেতু নিয়ে গবেষণা এখনো চলমান। ভবিষ্যতে আরও তথ্য সংগ্রহের পর বোঝা যাবে, এটি সত্যিই কতটা ব্যতিক্রমী।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল