দিনাজপুরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে সুব্রত খাজাঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটি এ বছর দেশের শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভ করে এবং প্রাথমিক শিক্ষা পদক অর্জন করে। বিদ্যালয়ের এ অর্জনে প্রশংসিত হচ্ছেন প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়। দৃষ্টিনন্দন ছাদবাগান, সততা স্টোর এবং সিসিটিভি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত বিদ্যালয়টির বাড়তি আকর্ষণ। শিশুদের বিনোদন ও রাইডগুলো স্কুলে আসায় উৎসাহিত করছে। এ কারণে অনেক মানুষ স্কুলটি দেখতে ও ছবি তুলতে আসছেন। বিদ্যালয়টি দিনাজপুুরের চিরিরবন্দর উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউপির কুশলপুর গ্রামে অবস্থিত। সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে প্রবেশপথের দুই ধারে বিভিন্ন জাতের ফুল ও পাতাবাহারের গাছ। বিদ্যালয়ের আঙিনায় দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন খেলার সরঞ্জাম, রাইড, ছাদে নানা ফুল-ফলগাছের সমাহার। বিদ্যালয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত। শিশুদের শিক্ষা ও চিত্তাকর্ষণের জন্য রয়েছে ঢেঁকিকল, দোলনা, সরাৎ, ফুলবাগান, সবজি বাগানসহ বিভিন্ন চিত্তবিনোদনের সামগ্রী। এ ছাড়াও ভাষাশহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার, মানচিত্র, সততা স্টোর, সুসজ্জিত শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। মনোরম পরিবেশে শিশুদের লেখাপড়া ও খেলাধুলার সুযোগসুবিধা পেয়ে বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা, লেখাপড়া শিক্ষাদান ও উপস্থিতিতে দৃষ্টান্ত রেখেছে বিদ্যালয়টি। জাতীয় সংগীত ও শপথবাক্য পঠিত হওয়ার পর কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে তাৎক্ষণিক অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শিক্ষার্থীদের শতভাগ অংশগ্রহণ নিশ্চিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা আনন্দদায়ক। লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক খেলনা সামগ্রী রয়েছে।
সামনের মাঠে বাগান রয়েছে; যা দেখতে পার্কের মতো। তাই প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে আসি। অভিভাবক মো. নুর ইসলাম জানান, ‘এই স্কুলের পরিবেশ মনোরম ও বিনোদনের পাশাপাশি লেখাপড়াও ভালো হয়। এখানে অনেক দূরদূরান্ত থেকে শিশুরা লেখাপড়া করতে আসে।’ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খেলার ছলে ও গানের সঙ্গে বাচ্চাদের পাঠদান করে থাকেন। স্কুলের সহকারী শিক্ষিক তাপস চন্দ্র রায় জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতভাগ। কোনো কারণে কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে না এলে হোম ভিজিট করে তাদের বিষয়ে অবগত হতে পারি। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায় জানান, এখানে শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ ও আনন্দদায়ক পাঠদান করা হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি দেশসেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেয়েছে।