নারায়ণগঞ্জের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) থেকে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চলছে মনোনয়ন প্রাপ্তির যুদ্ধ। এখানে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য কোনো দল এখন পর্যন্ত প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা। বিএনপি থেকে এ আসনে প্রার্থিতার জন্য নজরুল ইসলাম আজাদ, মাহমুদুর রহমান সুমন, পারভীন আক্তার ও আতাউর রহমান খান আঙ্গুর চেষ্টা-তদবির করছেন। খেলাফত মজলিস থেকে চেষ্টা করছেন হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী, মুফতি আশরাফুল ইসলাম এবং ইসলামী ঐক্যজোট থেকে মাওলানা ইয়াকুব।
জানা গেছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে আসনটিতে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য তদবির-লড়াই করছেন হেভিওয়েট চার নেতা। তাঁরা হলেন দলের ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার ও সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুর। তাঁদের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী ও মুফতি আশরাফুল ইসলাম এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা ইয়াকুব মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তৎপর রয়েছেন। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য জামায়াতের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা এরই মধ্যে দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন দৌড়ে থাকা নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘যদি জনপ্রিয়তা, সততা, আদর্শের দিক দিয়ে বিচার করা হয় তাহলে প্রার্থী হিসেবে আমার বিকল্প নেই।’ পারভীন আক্তার বলেন, ‘দল বলেছে ক্লিন ইমেজের লোক মনোনয়ন দেবে, সে কারণে একজন নারী নেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি অগ্রাধিকার পাব।’ আতাউর রহমান খান বলেন, ‘আমি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। যেহেতু কয়েকবার এমপি ছিলাম, সেহেতু জনগণ আমার সঙ্গে আছে। তাই মনোনয়ন আমাকেই দেওয়া হবে বলে আশা করি।’ জামায়াত নেতা অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা বলেন, ‘জনগণের কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছি। যেখানেই যাওয়া হয় লোকজন ছুটে আসে। আসলে আমরা সব সময় জনগণের পাশে আছি।’ খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা আহমদ আলী বলেন, ‘আড়াইহাজারের মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের কারণে বরাবরই উন্নয়নবঞ্চিত। এবার জনগণ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত স্বচ্ছ ইমেজের প্রার্থীই বিজয়ী করবে।’