ভাগ্য বদলের আশায় বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন মো. মনির হোসেন। প্রবাসে প্রায় পাঁচ বছর থাকার পর দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে বেকার হয়ে যান। বেকারত্ব দূর করতে নানা প্রচেষ্টা শুরু করেন। ইউটিউব চ্যানেলে কোয়েল পাখির খামারের ভিডিও দেখে তার আগ্রহ তৈরি হয়। এরপর বাড়িসংলগ্ন জায়গাতে মাত্র ৫ শতাধিক কোয়েল পাখি দিয়ে খামার শুরু করেন। এখন প্রতি মাসে আয় করছেন ২০ হাজার টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে তিনি সফল কোয়েল পাখি খামারি হিসেবে পরিচিত। তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকে এখন কোয়েলের খামার গড়ে তুলছেন। মনির হোসেন ওই গ্রামের মো. শহীদুল ইসলামের ছেলে। পরিবারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও মা-বাবা রয়েছেন। বর্তমানে এ কোয়েল খামারের আয় দিয়ে চলছে তার সংসার। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোয়েল পাখির মাংস ও ডিম অত্যন্ত সুস্বাদু এবং গুণগতভাবে উৎকৃষ্ট। ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং প্রোটিনের ভাগ বেশি হওয়ায় ডিমের চাহিদা রয়েছে বেশ। কম মূল্যে, স্বল্প জায়গায়, কম খাদ্যে সহজেই কোয়েল পাখির খামার করা যায়। রোগবালাই কম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অন্য পোলট্রির চেয়ে বেশি। কম পুঁজি নিয়ে কোয়েলের খামার তৈরি করা যায়। কোয়েলের আকার ছোট বলে এদের লালনপালনের জন্য জায়গাও কম লাগে। একটি মুরগি পালনের স্থানে মোটামুটিভাবে ১০ থেকে ১২টি কোয়েল পালন করা যায়। এখানের আবহাওয়া কোয়েল পালনের জন্য উপযোগী। কোয়েলের রোগব্যাধি প্রায় হয় না বললেই চলে। সাধারণত ছয় থেকে সাত সপ্তাহ বয়সেই একটি কোয়েল ডিম দিতে শুরু করে। উপজেলার সীমান্তবর্তী ছয়ঘড়িয়া গ্রামের খামার মালিক মো. মনির হোসেন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার হাঁস, মুরগি আর কোয়েল পাখি পালনে আগ্রহ ছিল। পড়াশোনার ফাঁকে এক পর্যায়ে বিদেশ চলে যাই। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে দেশে চলে আসি। এরপর কাজকর্ম না থাকায় অলস সময় পার করতে হয়। একপর্যায়ে ইউটিউব চ্যানেলে কোয়েল পাখি পালনের ভিডিও দেখতে শুরু করি। ক্ষুদ্র পরিসরে ১ হাজার বাচ্চা দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত টিকে ৫০০ পাখি। বর্তমানে এ পাখির মধ্যে দৈনিক ৪০০ পাখি ডিম দিচ্ছে। স্থানীয় বাজারে প্রতি ১০০টি ডিম বিক্রি করছি ৩০০ টাকায়। দৈনিক ১ হাজার ২০০ টাকার ডিম বিক্রি হয়। ৫০০ কোয়েল পাখির দৈনিক খাবার খরচ হয় প্রায় ৫০০ টাকার ওপর। যাবতীয় খরচ বাদে প্রতি মাসে এ খামার থেকে ডিম বিক্রি করে আয় হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে ১৪ দিনের আরও ১ হাজার বাচ্চা ক্রয় করে পালন করছি। প্রতিটি পাখি ১৫ টাকায় কেনা হয়। আগামী ২৫-২৭ দিনের মাথায় ১ হাজার পাখির মধ্যে ৮০০ পাখি ডিম দেবে বলে আশা করছি। তিনি আরও বলেন, কোয়েল পাখির রোগবালাই কম কিন্তু লাভ বেশি। কোয়েল পাখি ৪২-৪৪ দিনের মাথায় ডিম দেয়। টানা ছয় থেকে সাত মাস ডিম পাড়ে। পাখির বাচ্চা ক্রয়, ঘর নির্মাণ, খাবার ওষুধসহ যাবতীয় অন্যান্য খরচ মিটিয়ে বছরে আড়াই লাখ টাকার ওপর আয় সম্ভব বলে জানান তিনি। আখাউড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ আলী আজমল বলেন, ‘অল্প পুঁজি ও স্বল্প পরিসরে কোয়েল পাখি পালন করা যায়। বর্তমানে এ খামার গড়ছেন বেকার যুবক ও নারীরা।’ কর্মসংস্থান তৈরিতে কোয়েল পাখির খামার গড়ে তুলতে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিরোনাম
- সেফ এক্সিট নয়, আমরা চাই স্বাভাবিক এক্সিট : ধর্ম উপদেষ্টা
- রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ মাসের শিশু নিহত
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪১৩
- ঢাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসমাবেশ ২৯ নভেম্বর
- কোনো সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না: রিজভী
- জাতীয় নির্বাচন ঘিরে খাগড়াছড়িতে পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু
- নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে ১৫ বার্মিজ গরু জব্দ
- রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ পণ্ড, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
- প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ কিছু এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ : ডিএমপি
- পিসিএ সমঝোতা দ্রুততম সময়ে সম্পন্নে বাংলাদেশ-ইইউ ঐকমত্য
- মানিকগঞ্জ নাগরিক কল্যাণ পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা
- ৮ বছর পর গাইবান্ধা পৌর বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
- গাইবান্ধায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ভ্যানযাত্রী নিহত
- রোহিতকে টপকে সৌরভ-ধোনিকে ছুঁয়ে ফেললেন শুভমান
- ভোলায় মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
- গোপালগঞ্জে সাংবাদিক মাহাবুব হোসেন সারমাতের দাফন সম্পন্ন
- তাইওয়ানের সামরিক কর্মকর্তাদের তথ্য দিলে পুরষ্কার দেবে চীন
- মেঘনায় বিশেষ অভিযানে ২৪ জেলে আটক
- বিএইচএমএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু রবিবার
- বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কায় তরল গ্যাস আনা জাহাজে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা