চোখের সামনে বিশাল এক লাউঞ্জ। জোড়া-জোড়া আলোয় বুক পাকিয়ে বেরোচ্ছে শীতল নিঃশ্বাস। বয়সটা এমনই কমে গেছে, যেন ছোট্ট শিশুর মতো এক’পা-দু’পা, অতঃপর ইতস্তত কোমল নিতম্বসহ ধপ করে মেঝেতে পড়ে খিলখিল করে হাসা, আহা! এমনই সরল ঘোরে জীবন চমকায় যে, পাঁচতারা হোটেলের ইসপ্লাসে দাঁড়িয়ে শরীরটা সুচালো করে সুইমিংপুলে গেঁথে যাই। টালমাটাল জলের বুকে বুঁজ্জ্জ্ করে মাথাটা তুলতেই দেখি তুমি দাঁড়িয়ে, মুখে ফণা তুলে হাসছ। আমিও সপাটে হেসে বলি, কখন?
সেই কখন...
সুইমিং থেকে নিজেকে ছিটকে দিই পাড়ে। ওর পায়ের কাছে হাঁটু গেড়ে প্রণতি প্রকাশের মতো ইনিয়েবিনিয়ে বলি কত কথা। পাকা ফলের মতো সময়টা ফেটে যায়। নিজেকে মেকি উদাস করে বয়ে যায় অনুচ্চারিত হাওয়া। তবু যেন, তোমার ছেঁড়া ছেঁড়া হাসির ভিতর দেখতে পাই আমার ইচ্ছের অবাধ্যতা। কত যে মনলোভা আর আদর্শিক লাগে এইসব মুহূর্ত-
তোমার হাত চেপে বলি, বারবিকিউ চলবে?
না।
অন্য কোন স্ন্যাকস?
না।
তাহলে চল।
চল।
চলন্ত সিঁড়ি ডিঙিয়ে আরেকটি লাউঞ্জ। কিছুটা বাঁয়ে গিয়ে বলি, শপিং করবে?
করব।
কী মধুর সম্মতি। অবয়বজুড়ে স্বচ্ছ আলোর দাগ। তাই তো বাহুলগ্ন করে ভাবি, এই রোমাঞ্চিত দিনক্ষণ লিখে রাখার জন্য আস্ত একটা ডায়েরি দরকার। সোকল্ড প্রেম কিংবা একটু উষ্ণতার ফালতু ভাবাবেগ ছুড়ে দিয়ে প্রাপ্তির আস্বাদে আস্বাদে মুহূর্তটা যদি হয় অনন্ত, মন্দ কী!
শপিং মলে ঢুকে জামা নয়তো অর্নামেন্টের প্রতি তোমার গভীর মগ্নতা দেখে নিশ্চিত হলাম, তুমি আমার প্রেমে পড়নি। কাঁধে হাত রাখলাম। দ্বিধাগ্রস্তের মতো কেঁপে ডানে-বামে তাকালে না দেখে ভীষণ ভালো লাগল, নইলে তোমার আন্তরিক সদিচ্ছা নিয়ে ক্ষণিক অন্যমনস্ক হয়ে পড়তাম। সম্পূর্ণ দ্বিধাহীনভাবে তোমার মতোই সামনে ঝুঁকে বলি, এটা সুন্দর।
না না, এটা।
সত্যি...
হুঁ।
মেনে নিলাম। নিতে হয়। নইলে তুলোর মতো শূন্যে ভাসব কীভাবে। অতি সুন্দর কিছুর স্পর্শে বুকের ভেতরটা খসখস করে। হৃদয়ের গোপন শব্দ কি এমন? জানি না। এও জানি না, কখন ফুলের মৌসুম। পাতাঝরা নগ্ন-ধূসর গাছে তাকিয়ে উদাস হাওয়ায় নিজেকে বহুদিন ব্যাকুল করেছি। যদিও দিনক্ষণ মনে নেই। এখন যদি ডানাহীন শরীরটাকে মেলে দিই হাওয়ায়, নিশ্চিত করেই বলছি, আমি ভাসব। আমাকে নামাতে হলে অন্যরকম ডিজিটাল কণ্ঠ লাগবে। মনে হয় তোমার তা আছে। বহু পথ-মত নিকেশ করে আজ যেমন তুমিও ভাসছ তুলোর মতো, সেটি কি একদিনে? শপিং করতে করতে মনে হলো, এ তো মহাজাগতিক অপার দোলা। আরেকটি নতুন দিনের মুহূর্তগুলো এই মন ভোলানো দোলা ডিঙিয়ে কতদূর যেতে পারবে? হয়তো-বা বহুদূর, তবু ভয় ও সন্দেহের যুগপৎ শিহরণে শরীর কাঁপতে থাকে। বরং এই তো ভালো, পাঁচতারা হোটেলের শঙ্কামুক্ত স্পেসগুলোতে আমাদের যমজ ছায়া নেচে যায়।
চল-
কোথায়?
সামনে।
একহাতে শপিং ব্যাগ, অন্যহাতে পার্স। জীবনের মুঠো মুঠো সুখ যেন-বা বেলুন হয়ে উড়ছে। লালগালিচার উপর উচ্ছ্বসিত আবেগের শীতল কাঁথা বিছিয়ে দিচ্ছে কেউ। ওয়েটিং স্পেসে বসে আইফোন চালাচ্ছে কেউ কেউ। আমরাও বসলাম। ওর ফোনে বিদঘুটে ওয়ালপেপার সেট করা। ম্যাসেঞ্জারের প্রেমময় বন্ধুদের ব্যক্তিগত প্রশ্ন আর বিভিন্ন ছবিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল। মুখ দেখে মনে হলো, সবটাই স্বাভাবিক। যুগ থেকে শতাব্দীর এই যে আপনমগ্ন প্রবাহ, সেখানে আর যাই হোক, মানুষের বিষাদ অনুভূতি বলে হয়তো কিছু নেই। সেরকম উপলব্ধির সরস যুবক হয়ে পাঁচতারা হোটেলকে নিয়েছি চির আদিমতায়। নিজের ভেতর সুখ রোমন্থনের কতশত শীৎকার যে শুনি-
দু-একটা এসএমএস রিপ্লাই করে ঠোঁটের চেপে রাখা হাসিটায় অদ্ভুত কাতরতা এনে বললে, দেখছ, কী সব নোংরা ভাষা!
কারটা, তোমার না ওর?
বাহুতে হালকা ধাক্কা দিয়ে বললে, তুমি না!
খলখল করে হাসি আসে আমার। তুমি বিচলিত হয়ে মোবাইল পার্সে ঢুকিয়ে এমনভাবে উঠে দাঁড়ালে, যেন সমুদ্রের পাড়ে গড়িয়ে পড়া ঢেউগুলোর ছোবল থেকে নিজের পা দুটো মুহূর্তকালের জন্য আড়াল করতে চাচ্ছ। আর আমিও তোমার মনলোভা সুন্দর ঢংটিকে স্যালুট করতে করতে নিজেকে এগিয়ে নিচ্ছি ভণ্ডামিহীনভাবে। ভাবতে পার, আমার আনন্দ আমাদের সিদ্ধান্তকে কতটা মুগ্ধতা দিচ্ছে!
আমরা রেস্তোরাঁর ভেতর ঢুকে পড়লাম। ভেতরে কেমন রহস্যময় আলোছায়ার খেলা। মাথার ওপর অনেকগুলো ল্যাম্পশেড। কম ভলিউমে বেজে চলেছে ওয়েস্টার্ন মিউজিক। আগেও কত শতবার পাঁচতারায় এসে নিজেকে লোপাট করে হুমড়ি খেয়ে পড়েছি, তখন তুমি ছিলে না। তোমার মতোই কেউ কেউ সকৌতুক স্পর্শে বুঝিয়েছিল অস্তিত্বের ব্যাখ্যা। জীবনের ধাপে ধাপে সংক্রমিত অন্ধকারকে নিকেশ করে টান টান উত্তেজনার যমজ আনন্দে হো-হো করে কত যে হেসেছি!
এখনো রেস্তোরাঁর গ্লাস পেইন্টিংয়ে অর্থবিত্তের প্রবল আত্মবিশ্বাস শীতল নিঃশ্বাস হয়ে গলে গলে পড়ে। বস্তুত, তোমাকে বাহুমূলে সেঁটে আজও প্রত্যাশা করি আরেকটি আধুনিক অপশনে ভরা নতুন পাঁচতারা হোটেল। সেদিন হয়তো তুমি থাকবে না, দৃষ্টিসীমায় কেউ কেউ ঋজু হয়ে এলে আরেকজন লম্বালম্বি দাঁড়িয়ে যায়। একটি নতুন মাত্রা, নতুন বোধ, নিশ্চিতভাবেই শরীরে গড়িয়ে পড়বে ফোঁটা ফোঁটা শিশিরের মতো।
বলি, কী খাবে?
চিংড়ির মালাই, তুমি?
চিলিসস।
শুধুই চিলিসস?
অ্যাটাচড বারে পাঁচ-ছয় পেগ হুইস্কি তো আছেই।
এরপর?
এক্সক্লুসিভ স্যুইট-এ কিছু সময়...
নটি বয়!
আহা, এমনই রঙ্গব্যঙ্গভরা মিষ্টি উচ্চারণ, বুঝি-বা বাতাসে নতুন ঢেউ জাগল। আমিও ক্রম সঞ্চরণশীল সুখের আভায় নিজেকে মেকি কষ্টের বিপর্যস্ত যুবক ভেবে তোমার হাতকেই চেপে ধরি। শরীরকে মাউস বানিয়ে ক্লিক করে ইচ্ছে করে ঢুকে যাই নতুন নতুন অপশনে। মনে মনে বলি, আই হেইট মাইসেল্ফ। ইস, যদি উচ্চস্বরে বলতে পারতাম! জনমানবপূর্ণ লোকালয়ে আর যাই হোক ফিনকি দিয়ে রক্তক্ষরণ হতো না।
কিছু ভাবছ?
প্রশ্ন শুনে আচমকা ঘোর কাটে।
নাঃ
ওহ।
একটা কিছু বলছিলাম।
কী?
বলব না।
মুচকি হেসে বললে, নিজেকে লুকোচ্ছ।
হয়তো।
কেন যে এরকম বলে বসি বুঝি না। অনুভূতির এই দুর্বোধ্যতা এক্সক্লুসিভ স্যুইটের ভেতর প্রবল টোকা মেরে ফের জাগিয়ে তোলে। নির্ভারে দেহকে তাই তো ছেড়ে দেই শূন্যে ধপ করে পতনের শব্দটা নিজেই উপভোগ করি। উবু হয়ে বলি, ভালোবাসি।
কাকে?
তোমাকে।
হুঁম্ ম্ ম্, হি হি
হোয়াট রাবিশ!
বাঁকা হাসির তোড়ে তুমি ছিটকে পড় আরেকটি চলমানতায়। তোমার শিরায় শিরায় দেখতে পাই বিষময় আশীর্বাদ। কী এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ঘোরে কোথায় যে তলাচ্ছি! স্যুইটের মেঝেতে কখন যে নির্বাক স্তব্ধতা নিয়ে চলে আসে কোন এক প্রাগৈতিহাসিক প্রহরী। হাতে বর্শা, চামড়ার পোশাক, একেবারে মূর্তিমান বিভীষিকা, তবু কত নীরব। ঠোঁট গলে খসে পড়ছে ইতিহাসের একেকটি অক্ষর। আদিযুগ থেকে মধ্যযুগ, অতঃপর যুগযুগান্তের বাঁকে আজও প্রতিবাদহীন সরল ক্রীতদাস।
কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে বললে, একটি সত্যি কথা বলবে?
কী?
তোমার স্ত্রীকে ভালোবাস?
হ্যাঁ।
আমাকেও?
ঠোঁটভরা যত না প্রশ্ন, চাপা হাসির চমকটা তত বেশি। বিচলিত না হয়ে ভাবি, মানুষকে কখনো কখনো ভারাক্রান্ত করে একটা অযাচিত কৌতূহল। এও ভাবি, এসব নারীসুলভ প্রশ্নের ভেতর তুমি শতভাগ দুর্বোধ্য। আজকের প্রশ্ন কালকেই হয়তো প্রশ্নহীন চমকে জীবনকে মোচড় দেবে অদ্ভুত নাটকীয়তায়। সত্য-মিথ্যার আবর্তিত ছন্দে তুমি কেবল সরল আশ্বাসে নেচে যাচ্ছ, নিজেকে সফল মনে করলে কষ্ট পাবে না, মনে না করলেও কারও কিছু এসে যায় না। হো-হো করে হেসে ফেলি। তুমি এমন কাণ্ড দেখে মেকি অভিমানে ঠোঁট জোড়া একপাশে মোচড় দিয়ে বললে, ইরেসপনসিবল!
এরপর?
কোন কষ্ট তোমাকে ভাবায় না?
না, কষ্ট থাকতে নেই।
কি আছে, কষ্টবিলাস?
হয়তো।
তুমি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছ। তোমার দৃষ্টির পথ ধরে অনেক দূর যাওয়া যেতে পারে। প্রেম কিংবা প্রত্যাশার আপেক্ষিক বিচারে আদর্শিক সঞ্চয় বলে কিছু থাকে কি? নিজের দু’পা গুটিয়ে জীবনের আলোড়িত অভিজ্ঞতায় তোমার এই মুহূর্তের দৃষ্টিকে তুড়ি মেরে ইচ্ছে করে নিজের কপালে লম্বা একটা চপেটাঘাত করি। বেশ আলতোভাবে এক হাত টেনে নিয়ে বললে, কষ্ট পেয়েছ?
কেন?
আমার কথায়।
দূর!
ওর দৃষ্টিতে জল দেখে এবার সত্যি সত্যি হাসি পায়। কষ্ট করে চেপে রাখি। মনোজাগতিক আদর্শের গালগল্প নিয়ে মানুষ কি হয়ে যায় আত্মসচেতন, নাকি বিপর্যস্ত? বুঝতে পারি না। কল্পনায় কেবল মাউস বাটন টিপতে থাকি অবিরাম। আহা কত যে ওয়েবসাইট চলে আসে! উইকিপিডিয়া থেকে পর্নো, নয়তো কোনো বিজন বিলের লাল শাপলার স্ফীত বক্ষটান চিত্র...
অন্তর্গত বিস্ময় যেন বা ট্রেনের হুইসেল বাজিয়ে অনন্তের দিকে ঝক-ঝক্ শব্দ তুলে এগিয়ে যাচ্ছে একটানা। সমান্তরাল রেলপথে ইঞ্জিনের ক্রম গতিশীলতা শোঁ শোঁ ওওও করে বাঁক নেওয়ার পর স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের চকিত-চমক ফুটো করে উঠে আসে কতরকম ব্যস্ততা।
কী ভাবছ?
অনেক কিছু।
কী?
চোখের জলটা মুছে ফেল, বাজে দেখাচ্ছে।
অহ্। হঠাৎ মা কে মনে পড়লো কিনা-
তাহলে মুছো না।
তুমি তবু মুছে নিয়ে বললে, আমার খুব নস্টালজিয়া চাপে।
এবার আমি তাকালাম। অতীতের ভেতর বিশেষ কতগুলো স্মৃতিচিহ্ন আমারও মোচড় দিয়ে ওঠে। অতঃপর এক্সক্লুসিভ স্যুইটের হিমশীতল বিছানা অনন্ত আঁধারে তলিয়ে যেতে যেতে কীভাবে যে নিরন্তর আশ্বাসে বেঁধে নেয়... কোন বয়সিনীর আদুরে স্পর্শের মতো শিরশির করে দেহের শিরায় শিরায় রক্তপ্রবাহ জেগে ওঠে। নির্ঘুমে নির্ঘুমে রক্তবর্ণ কাতর চোখে সচকিত হয়ে অপেক্ষা করেছি, কখন যে গ্রিন সিগনালের পর ইঞ্জিনকে ফের স্টার্ট করা যায়...কিন্তু হয় না। তাই তো চলমান ইঞ্জিন বাঁক নেওয়ার মতো অকস্মাৎ জীবনও বাঁক নিল পরিবর্তনের হাওয়ায়। এত বিচিত্র কিছু নয়, তবু যেন জোছনার আলোয় গড়িয়ে পড়তে দেখি শত শত ঝরাপাতা, নয়তো লাল শাপলার স্ফীত বক্ষটান। নিজেকে মনে হয়, লোকচক্ষুর আড়ালে বিজন বিলে যদি হতে পারতাম লাল শাপলার আত্মকথন! ছোট্ট কোনো পাখি অনুভূতি বাজিয়ে যদি গেয়ে যেত নতুন গান! অনিঃশেষে বেঁকে যায় অতীত, আমি বুঝিবা বর্তমানে...
একদিন নির্ঘুম সারা রাত কাটাবার পর যতদূর মনে পড়ে, ভোরবেলা তোমাকেই রিং দিয়ে বলেছি, আমার সারা রাত ঘুম হয়নি।
এখন ঘুমাও।
সারা রাত আসেনি, এখন কি আসবে?
আসবে, এখন ঘুম আসবে।
ঘুমভাঙা ভোরের দ্যোতনায় তোমার কণ্ঠস্বর এতটাই জলদগম্ভীর ছিল যে, সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ম্যাজিকের মতো। এরপর জীবনের অমার্জিত ভার, নয়তো দগ্ধ পোড়ামাটির ফ্যাকাশে গন্ধ নিয়ে কতদিন যে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়েছি, বুঝি গ্রিন সিগনাল দেখা যায়...শুধুই লাল সিগনালের দমবন্ধ জ্যাম আর জ্যাম!
আর তাই জীবনকে দেখছি ঝাড়বাতির মতো...গনি মিয়ার আজ হালচাষ হয়নি, সলিমুদ্দির সংসারে টানাপোড়েন এসব ভাবনাবিলাসের চৌকো অনেক আগেই ডিঙিয়ে এসেছি। কখনো-বা আন্তরিক স্পর্শে পকেট থেকে যদি দুটো টাকা উঠেও আসে, হুড়মুড় করে চলে আসে আরেকটি বিকৃতি। মানুষের ‘আবেগ’ আর ‘অধিকার’ নিকেশ করে এতদূর এসেছি, এটা কি অতলস্পর্শী যোগ্যতার সূক্ষ্ম স্টান্টবাজি নয়, কজন পারবে? একবুক ঈর্ষা নিয়ে যারা সমালোচনা করে, সেই ব্যর্থদের অনেক আগেই মুখরিত করেছি ‘ভোট চাই’ ‘ভোট চাই’ স্লোগানে। এখন আমি পাঁচতারা হোটেলের পঞ্চভূত!
মাউসে এবার ফের ক্লিক করতেই তোমার শরীর চষে বেরোয় নতুন অপশন। নিজেকে মুচড়ে অবাক হয়ে বললে, কিছু কথা ছিল তো-
চুপ্!
ওহ প্লিজ-
নো।
পারভার্টেড!
নট এ্যাট অল।
ইউ ব্লাডি বাস্টার্ড!
হোয়াট এ টেরিবল প্লেজার!