বহুজাতিক সমাজে নিজেদের অবস্থানকে আরো জোরালোভাবে প্রদর্শনের অভিপ্রায়ে ‘বাংলাদেশ ডে প্যারেড’ করলেন নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
জ্যাকসন হাইটসের ব্যস্ততম রাস্তা বন্ধ করে কঠোর নিরাপত্তায় ৬৫ সংগঠনের হাজার হাজার প্রবাসীর উপস্থিতিতে ৬৯ স্ট্রিট থেকে ৩৭ অ্যাভিনিউ তথা বাংলাদেশ স্ট্রিটের পাশ দিয়ে এ প্যারেড যায় ৮৭ স্ট্রিটে। লাল-সবুজের পাতার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা হাতে তরুণ-তরুণীরা নেচে-গেয়ে আর বিজয়ধ্বনিতে গোটা এলাকা প্রকম্পিত করেন।
রবিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত থমকে দাঁড়িয়েছিল কুইন্সের এ এলাকাটি। ভিনদেশিরাও মুগ্ধ নয়নে বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধতায় সুশঙ্খল প্যারেডকে অভিবাদন জানিয়েছেন। শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিটি মেয়র এরিক এডামস, স্টেট সিনেটর জন ল্যু, স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান জোহরান মামদানীসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
‘হিউম্যানিটি অ্যাম্পাওয়ারমেন্ট রাইটস ফাউন্ডেশন’-এর সহযোগিতায় প্যারেডের সামগ্রিক দায়িত্বে ছিল ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’।
চমৎকার আবহাওয়ায় প্যারেড অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম।
এ সময় ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার ড. দীলিপ নাথ বলেন, আমি খুবই গর্বিত ও আনন্দিত। দ্বিতীয় বারের মত জ্যাকসন হাইটসে প্যারেড করতে পারলাম। আগামীতে সব ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সবাইকে নিয়ে এই প্যারেডটিকে আরো বড় করে আয়োজন করা যায়-সেটিই আশাদের আশা।
প্যারেডে অংশ নেয়া চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আবু তাহের বলেন, আমরা চট্টগ্রাম সমিতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে নিয়ে চমৎকার একটি প্যারেড উপহার দেওয়ার জন্যে। আশা রাখি আগামী বছর আরো বড় আয়োজনে প্যারেড করব ইনশাআল্লাহ।
প্যারেড কমিটির সদস্য-সচিব এবং ‘হিউম্যানিটি অ্যাম্পাওয়ারমেন্ট রাইটস ফাউন্ডেশন’-এর প্রেসিডেন্ট ফাহাদ সোলায়মান বলেন, ৬৫ অর্গানাইজেশনের তিন হাজারের বেশি লোক এসেছেন। অনেক বড় বড় অর্গানাইজেশন জয়েন করেছে। ইউনিভার্সিটি, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ শিশুরাও এসেছে। আমাদের বাঙালি কালচার প্রবাস প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্যারেডের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্যারেডের সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন সর্বস্তরের প্রবাসী নেতৃবৃন্দ। দলমত-নির্বিশেষে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে এ প্যারেড কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন জেবিবিএর প্রেসিডেন্ট ও আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিইও গিয়াস আহমেদ।
তিনি প্রবাসীদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিপুল উৎসাহে প্যারেডে অংশগ্রহণের জন্যে। বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এবং সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম পুরো প্যারেডের মেজাজের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বিজয়-উল্লাস করেছেন। বিজয়ের এ পথ বেয়েই মূলধারার রাজনীতি ও প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন কমিউনিটির এই দুই নেতা।
বিডি প্রতিদিন/কেএ