পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের স্ত্রীকে জাল সনদে প্রভাষক পদে চাকরি দেওয়ার মামলায় কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক মো. মজিবুর রহমান নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাল সনদ দিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজে প্রভাষক পদে চাকরি বাগিয়ে নেওয়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আউয়াল, তার স্ত্রী লায়লা পারভীন ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাটের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাজিরপুর সদরে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ফজিলাতুন্নেসা কলেজে ২০১৩ সালে পাসকোর্স চালু হয়। কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও ২০১৮ সালে সরকারীকরণ করা হয়।
লায়লার স্বামী গভর্নিং বডির সভাপতি এবং লায়লা দাতা সদস্য হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও জাল সনদপত্র ব্যবহার করে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ নেন।
স্বামীর প্রভাব এবং অধ্যক্ষের সহযোগিতায় লায়লা নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। জাল সনদে চাকরি ও সরকারি টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করায় লায়লার স্বামী আউয়াল এবং অধ্যক্ষকেও আসামি করা হয়। অধ্যক্ষ এতদিন হাই কোর্ট থেকে নেওয়া অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন।