সপ্তাহের প্রথম দিনে শেয়ারবাজারে লেনদেন কমে এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। মাঝে কয়েকদিন বাজারে ইতিবাচক ধারা থাকলেও এখন তা ফের উল্টোপথে চলছে।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার ও বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হয়। দুই দিনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ১৫৪ পয়েন্টে দাঁড়ায়। এমন পতনের পর বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের কিছুটা উত্থান হয়। সপ্তাহের শুরুর দিনে গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বেড়েছে ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭৫টির। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৩২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭৭৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত ১৪ আগস্টের পর ডিএসইতে সব থেকে কম লেনদেন হলো।
গতকাল লেনদেনের শীর্ষে ছিল রবির শেয়ার। ৩১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে ৩০ টাকা ৬০ পয়সায় কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে একমি পেস্টিসাইডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার। ২২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৫৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২০টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।