বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের মালামাল খালাস প্রক্রিয়ায় এইচএস কোড অথবা পণ্যের বর্ণনার ভিন্নতায় দীর্ঘসূত্রতা এড়াতে শর্তসাপেক্ষে পণ্য ছাড় করতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য জানায়। এনবিআর জানায়, প্রায়ই বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত পণ্য ও ঘোষণায় প্রদত্ত কোডের সঙ্গে কায়িক পরীক্ষায় নিরূপিত কোডের অমিল দেখা দেয়। ফলে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়ে রপ্তানির নির্ধারিত সময়সূচি বিঘ্নিত হয়। এ পরিস্থিতি নিরসনেই নতুন নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুসারে, বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত পণ্যের বর্ণনা ও এইচএস কোড অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা জমা দেওয়ার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন এইচএস কোড নির্ধারণ করলে যদি নিরূপিত কোডের প্রথম ৪ ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত এইচএস কোডের প্রথম ৪ ডিজিটের সঙ্গে মিলে যায়, তবে অঙ্গীকারনামা দাখিল সাপেক্ষে দ্রুত পণ্য খালাস করা যাবে। এছাড়া, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন এইচএস কোড নির্ধারণ করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সিবিএমএস এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ দুই দিনের মধ্যে নতুন কোড প্রাপ্যতায় অন্তর্ভুক্ত করে পণ্য খালাস করতে পারবে। সম্প্রতি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এইচএস কোড নিয়ে হয়রানির কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এই জটিলতায় অনেক ব্যবসায়ীর পণ্য আটকে আছে বলে দাবি করেছেন তারা। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিলো এনবিআর। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন শেখ বলেন, নির্দেশনাটি যথাযথভাবে অনুসরণ করলে রপ্তানি কার্যক্রম আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী হবে। দেশের সামগ্রিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।