দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনীতির ভিত গড়ে তোলা কৃষকসমাজের বড় অংশই ন্যায্যমজুরি থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপ অনুসারে, জাতীয় কৃষিমজুরি হিসেবে নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ টাকার তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষক কম মজুরি পান। অর্থাৎ, চার জনের মধ্যে দুই জন কৃষকই এখনো প্রাপ্য আয় পাচ্ছেন না।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের মিলনায়তনে বিবিএস পরিচালিত ‘উৎপাদনশীল ও টেকসই কৃষি জরিপ ২০২৫’-এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জরিপ বলছে, দেশের মোট কৃষিজমির ৫৭ শতাংশ এখনো টেকসই ব্যবস্থাপনার আওতায় আসেনি। এই জমিগুলোর বড় অংশ কৃষিঋণ, ইনসিওরেন্স কিংবা একাধিক ফসল উৎপাদনসুবিধা থেকে বঞ্চিত। এতে দুর্যোগে ফসলহানির ঝুঁকি আরো বাড়ছে। শহরাঞ্চলে এমন ঝুঁকিতে থাকা জমির হার ৪৪ শতাংশ। গত তিন বছরে দেশের ৭৯ শতাংশ কৃষিজমি অন্তত এক বছর লাভজনকভাবে ব্যবহৃত হলেও, বাকি ২১ শতাংশ জমি কোনো সময়েই লাভের মুখ দেখেনি। শহরাঞ্চলে এই হার আরো বেশি, ২৫ শতাংশ।
জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৪৩ শতাংশ জমিতে সার প্রয়োগে কোনো নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় না। কীটনাশকের ক্ষেত্রেও ৪৯ শতাংশ জমিতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি উপেক্ষা করা হয়। সঠিকভাবে সেচ না পাওয়ায় দেশের ১৮ শতাংশ জমি প্রত্যাশিত ফলন দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল