দিল্লির উপকণ্ঠ গুরগাঁওয়ে টানা বৃষ্টির জেরে সোমবার ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির মধ্যে আটকে পড়েন। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, কোথাও যানজট ১০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ ছিল।
বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই যানজটে বহু মানুষ ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা রাস্তায় আটকে ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও, যেখানে দেখা যাচ্ছে মহাসড়কের অন্তত এক ডজন লেনজুড়ে দীর্ঘ সারির মতো দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি।
গুরগাঁও ভারতের অন্যতম সমৃদ্ধ শহর এবং বহু বহুজাতিক কোম্পানির সদর দপ্তর এখানে অবস্থিত। তাদের অবকাঠামোর দুর্বলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, গুরগাঁও ডুবে যাচ্ছে। বিপুল ভাড়া দিয়ে এখানে থাকতে এসে এরকম দুর্ভোগ! কেউ কেউ মজা করে বলেছেন, অফিসেই রাত কাটানো ভালো, আবার অনেকে মন্তব্য করেছেন যে হাঁটলেই হয়তো দ্রুত পৌঁছানো যাবে।
বৃষ্টির পূর্বাভাসকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন মঙ্গলবার সব অফিস, স্কুল ও কলেজে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যমুনা নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে, ফলে নীচু এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লির পুরনো রেল সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও বৃষ্টির তাণ্ডব চলছে। পাঞ্জাবে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। হিমাচল প্রদেশে জুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৩১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বন্যা, ভূমিধস ও সড়ক দুর্ঘটনায়। কাশ্মীরের এক গ্রামে তীর্থযাত্রীদের মধ্যে অন্তত ৪৬ জন প্রাণ হারান গত মাসে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল