চীনে জন্মহার কমে যাওয়ায় সরকার এবার মায়েদের সন্তান জন্ম দিতে উৎসাহিত করতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে দেশটির সব তৃতীয় স্তরের (৫০০ বেডের বেশি) হাসপাতালকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রসবের সময় এপিডুরাল অ্যানাস্থেশিয়া (মেরুদণ্ডের ব্যথানাশক ইনজেকশন) সুবিধা চালু করতে বলা হয়েছে। আর ২০২৭ সালের মধ্যে এ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে দ্বিতীয় স্তরের (১০০ বেডের বেশি) হাসপাতালগুলোতে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, এ উদ্যোগ নারীদের জন্য আরামদায়ক ও নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করবে এবং পরিবারে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করবে।
বর্তমানে চীনে মাত্র ৩০ শতাংশ গর্ভবতী নারী সন্তান জন্মের সময় ব্যথানাশক গ্রহণ করেন। অথচ উন্নত দেশগুলোতে এই হার ৬৭ থেকে ৮২ শতাংশ পর্যন্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সুস্থ গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ব্যথানাশক নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
চীনের অনেক প্রদেশ এরই মধ্যে প্রসবকালীন অ্যানাস্থেশিয়ার খরচ মেডিকেল ইনস্যুরেন্সের আওতায় আনছে। এতে করে সন্তান নেওয়ার খরচ কমবে এবং দম্পতিরা সন্তান জন্মদানে আগ্রহী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
চীন বর্তমানে জন্মহার হ্রাসের সংকটে রয়েছে। ২০২৪ সালেও টানা তৃতীয় বছরের মতো দেশটির জনসংখ্যা কমেছে। বিয়ের প্রতি অনীহা, শিশু লালন-পালনের ব্যয় এবং কর্মজীবনে অনিশ্চয়তা—এসব কারণে অনেক তরুণ দম্পতি সন্তান নেওয়া থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন।
এ অবস্থায় গত জুনে সিচুয়ান প্রদেশে বিবাহ ছুটি ২৫ দিন ও মাতৃত্বকালীন ছুটি ১৫০ দিন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সন্তান নেওয়াকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটির সরকার।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল