জাপানে আলোচিত সিরিয়াল কিলার তাকাহিরো শিরাইশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ‘টুইটার কিলার’ নামে পরিচিত ৩৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৭ সালে ৯ জন নারীকে হত্যা করে দেহ ছিন্নভিন্ন করেছিলেন।
জাপানের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টোকিওর কাছাকাছি একটি অ্যাপার্টমেন্টে শিরাইশি ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী মেয়েদের ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। তিনি মূলত আত্মহত্যাপ্রবণ নারীদের টার্গেট করতেন এবং টুইটারে তাদের সাথে যোগাযোগ করতেন।
বিচারমন্ত্রী কেইসুকে সুজুকি জানান, ভুক্তভোগীদের প্রলুব্ধ করে নিজ বাসায় এনে হত্যা করা হয়। দেহ থেকে মাথা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা হয়। কিছু অংশ ফ্রিজে রাখা হয়, বাকিগুলো ফেলা হয় আবর্জনার স্তূপে। শিরাইশি এসব হত্যাকাণ্ড করেছেন তার যৌন আকাঙ্ক্ষা ও টাকার লোভ পূরণের জন্য।
২০১৭ সালে এক ২৩ বছর বয়সী নারীর টুইটার পোস্ট দেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সেই নারীর নিখোঁজ হওয়ার সূত্র ধরেই শিরাইশির ভয়ঙ্কর অপরাধ ফাঁস হয়।
তবে শিরাইশির আইনজীবীরা বলেছিলেন, নিহতরা স্বেচ্ছায় মৃত্যুর জন্য সম্মত হয়েছিল। যদিও আদালত এটা আমলে নেয়নি।
জাপানে মৃত্যুদণ্ড এখনও বহাল রয়েছে এবং জনমতেও এর ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। ২০২৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ৮৩ শতাংশ মানুষ মৃত্যুদণ্ডকে ‘অনিবার্য’ মনে করেন।
উল্লেখ্য, জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া জাপানই একমাত্র দেশ যেখানে এখনও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের অনেক সময় বছর বছর ধরে একাকী বন্দীদশায় মৃত্যুর অপেক্ষা করতে হয়, যা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল