নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণাসহ জুলাই অভ্যুত্থান সার্থক করতে সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনুসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। সেই সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে থাকা অনিশ্চয়তার কুয়াশা কেটে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করে সেই অস্থিরতা প্রশমিত করায় তাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একইসাথে বন্দর, মানবিক করিডোর নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করে উদ্বেগ দূর করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারই ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান লক্ষ্য এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কর্তব্য। সেই সংস্কার কাজের যে অগ্রগতির বিবরণ তিনি তুলে ধরেছেন, তাতে আমরা আশান্বিত হয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করি তিনি ও তার সরকার সকল বাধা উপেক্ষা করে সংস্কারের কাজ শেষ করবেন। বিচারের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতির বিবরণ দিয়েছেন তা জাতিকে আশ্বস্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, কোরবানির চামড়া যা মূলত গরিবদের হক তা নিয়ে বিগত সরকার সীমাহীন জালিয়াতি করেছে। সরকার এই ক্ষেত্রে ইতিবাচক যেসব উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তা আশাব্যাঞ্জক। একইসাথে হজ নিয়ে গৃহীত পদক্ষেপের সুফল জাতি পেয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এই সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সাধুবাদ যোগ্য। অর্থনীতির সংস্কার এবং দেশকে সঠিক ধারায় উত্তরণে এই সরকারের যে প্রচেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা তুলে ধরেছেন, তার প্রশংসা করতেই হবে।
চরমোনাই পীর বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যথার্থই বলেছেন; দেশ যুদ্ধাবস্থায় আছে। নানামুখী চক্রান্ত ও অপপ্রচার দেশকে আষ্টেপৃষ্টে আঁকড়ে ধরছে। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা দেশের স্বার্থেই আবশ্যক। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কুয়াশা রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল, তা আজকে কেটে গেছে। ফলে সংস্কার ও বিচারের কাজে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার যে আহ্বান তিনি করেছেন, তাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরাবরের মতো সাড়া দেবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ