হলিউডের অন্যতম পরিচিত মুখ অস্কার মনোনীত ব্রিটিশ অভিনেতা টেরেন্স স্ট্যাম্প ৮৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। রবিবার সকালে তার পরিবারের পক্ষ থেকে রয়টার্সকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিনেতা ও লেখক হিসেবে তার অসাধারণ কাজের ভাণ্ডার তিনি রেখে গেছেন, যা আগামী বহু বছর ধরে মানুষকে প্রভাবিত করবে।
ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় জীবনে তিনি বহু স্মরণীয় চরিত্রে রূপদান করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ‘সুপারম্যান’ ও ‘সুপারম্যান টু’ ছবিতে খলনায়ক জেনারেল জড-এর চরিত্রে তার অনবদ্য অভিনয়। এছাড়া, 'দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অফ প্রিসিলা, কুইন অফ দ্য ডেজার্ট', 'ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড', ও 'ভ্যালকিরি'র মতো ছবিতেও তিনি তার প্রতিভার ছাপ রেখেছেন।
১৯৩৮ সালের ২২শে জুলাই পূর্ব লন্ডনের স্টেপনি-তে এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন টেরেন্স স্ট্যাম্প। ১৯৬২ সালে 'বিলি বাড' ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয়। প্রথম ছবিতেই তার অভিনয় তাকে সেরা পার্শ্ব অভিনেতার জন্য অস্কার মনোনয়ন এবং সেরা নবাগত হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব এনে দেয়।
১৯৬০-এর দশকে স্ট্যাম্প তার সুদর্শন চেহারা, ফ্যাশন সচেতনতা এবং জুলিয়া ক্রিস্টি ও সুপারমডেল জিন শ্রিম্পটনের মতো তারকাদের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই সময়েই দ্য কিঙ্কস ব্যান্ডের 'ওয়াটারলু সানসেট' গানে 'টেরি মিটস জুলি' লাইনটি তাদের সম্পর্ককে অমর করে রেখেছে।
১৯৭০-এর দশকে কর্মজীবনে কিছুটা ভাটা পড়লেও ১৯৭৬ সালে 'সুপারম্যান' ছবিতে জেনারেল জড চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে তিনি দুর্দান্তভাবে ফিরে আসেন। এরপর থেকে তিনি নিয়মিতভাবে অভিনয় চালিয়ে গেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে 'স্টার ওয়ারস: এপিসোড ১ – দ্য ফ্যান্টম মেনেস', 'দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো' এবং 'লাস্ট নাইট ইন সোহো'।
টেরেন্স স্ট্যাম্প একসময় বলেছিলেন, 'আমার একমাত্র অনুশোচনা হলো সেইসব চলচ্চিত্র, যা আমি ভয়ের কারণে ছেড়ে দিয়েছি।' তবে তার অভিনয় দক্ষতা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্র রূপদান তাকে হলিউডের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় স্থান দিয়েছে।
অভিনয় জীবনের পাশাপাশি তিনি একজন লেখকও ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল